করোনার প্রভাব: অ্যামেরিকার ধনীরা আরো ধনী
করোনা কালে মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অ্যামেরিকার ধনীদের সম্পদ বেড়েছে ৪৩৪ বিলিয়ন ডলার৷ এমনটাই বলছে নতুন একটি রিপোর্ট৷ ছবিঘরে জানুন কারা আরও ধনী হলেন৷
অ্যামাজনের জেফ বেজোস
এই দুই মাসে অ্যামাজনের জেফ বেজোস এর সম্পদে যোগ হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ অ্যামেরিকানস ফর ট্যাক্স ফেয়ারনেস এবং ইনস্টিটিউট ফর পলিসি ইনস্টিটিউটের ‘প্রোগ্রাম ফর ইকুয়ালিটি’ র রিপোর্ট জানিয়েছে এই তথ্য৷
ফেসবুকের মার্ক সাকারবার্গ
মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গের সম্পদে যোগ হয়েছে বাড়তি ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
লকডাউনে এত আয়!
অ্যামেরিকার ছয়শ’র ও বেশি কোটিপতির তথ্য থেকে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে৷ মার্চের ১৮ তারিখ থেকে মে মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন চলাকালীন তাদের আয় সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছে ফোর্বস৷
১৫ ভাগ বেশি আয়
প্রতিবেদনটি বলছে, এই দুই মাসে অ্যামেরিকার কোটিপতিদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫ ভাগ বেড়েছে৷ ২ দশমিক ৯৪৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৩৮২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট
শীর্ষ পাঁচ ধনী বেজোস, সাকারবার্গ, বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট এবং ল্যারি এলিসনের মোট ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ বেড়েছে৷
এলন মাস্ক
গত দুই মাসে শতকরার হিসেবে বেশি লাভ হয়েছে এলন মাস্কের৷ তার মোট সম্পদ বেড়েছে শতকরা ৪৮ ভাগ৷ এরপরেই আছেন সাকারবার্গ, যার বেড়েছে ৪৬ ভাগ, বেজোসের ৩১ ভাগ৷
অর্থনৈতিক সংকট
করোনা ভাইরাসের এই সংকটকালে প্রযুক্তি সংক্রান্ত কোম্পানিগুলোর আয় অনেক বেশি৷ অথচ পুরো দেশে করোনার কারণে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে৷ ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি৷