করোনার পেছনে ছুটবে অ্যাপল ও গুগল
১১ এপ্রিল ২০২০শুক্রবার এ ঘোষণা দেয় শীর্ষ দুই প্রযুক্তি কোম্পানি৷ তারা জানায়, নতুন করোনা ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার হার কমাতে তারা ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং টেকনোলজি' ব্যবহার করে সেবাটি দেবে৷ সেক্ষেত্রে দুই কোম্পানি নিজেদের মধ্যে একরকমের সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করবে৷
পৃথিবীর ৯৯ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী অ্যাপল ও গুগলের সেবা নিয়ে থাকেন৷ কনট্যাক্ট ট্রেসিং টুলটি এটা জানতে সহযোগিতা করবে যে নির্দিষ্ট স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ব্যক্তি ভাইরাস বহনকারী কারো সংস্পর্শে বা কাছাকাছি এসেছেন কি না৷
‘‘এটা খুবই দারুণ৷ তবে অনেকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জায়গা থেকে ব্যাপারটা নিয়ে শঙ্কিত৷ আমরা বিষয়টি দেখব, ভালোভাবেই দেখব,'' এক প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷
বলা হচ্ছে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে কর্তৃপক্ষ খুব সহজেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত ও পরীক্ষা করা এবং কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে পারবেন৷
এই প্রযুক্তি চালু রাখলে ব্যবহারকারীর ফোন থেকে ব্লুটুথ সিগন্যাল দেবে৷ কেউ যদি তার ছয় ফুটের ভেতরে আসেন তাহলে অপরপক্ষের তথ্য সংরক্ষিত হবে৷ দুই কোম্পানিই বলেছে, তারা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য বা জিপিএস লোকেশন নিজেরা ট্র্যাক করবে না৷
এ বিষয়ে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও গুগলের সাবেক পরামর্শক আল গিদারি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘এটা পরীক্ষার বিকল্প নয়, আপনার জানতে হবে কে আক্রান্ত৷ তবে এসব তথ্য ব্যক্তিকে আরো সতর্ক, নিজেকে সরিয়ে রাখা এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে৷''
মে মাস নাগাদ নতুন এই সফটওয়্যরটি বাজারে আসার কথা৷ তবে প্রযুক্তিটি সারাবিশ্বের জন্য প্রযোজ্য হবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়৷ গুগল তার প্লে স্টোরে দেবে সফটওয়্যারটি আর অ্যাপল দেবে সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে৷
গোপনীয়তা রক্ষা
এ ধরনের অ্যাপ নিয়ে সবচেয়ে বড় শঙ্কা হল ব্যক্তির গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ৷ তবে ওয়ার্ল্ড প্রাইভেসি ফোরামের নির্বাহী পরিচালক প্যাম ডিক্সন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন যে, অ্যাপল বিষয়টি তাঁকে আশ্বস্ত করেছে৷
‘‘আমি মনে করি তারা অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে,'' ডিক্সন বলেন৷ ‘‘যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হবে না৷''
এপি জানাচ্ছে, অন্যের কোন সংবেদনশীল তথ্য অপর কোন ব্যক্তির ফোনে ‘এনক্রিপ্টেড' আকারে জমা হবে৷ কোন ব্যক্তিগত তথ্য সেখান থেকে জানা যাবে না এবং সতর্কতার সংকেতগুলো স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো নয়৷
জেডএ/এআই (রয়টার্স, এপি)