1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার ছয় মাস, এখনও সতর্ক জার্মানি

২৯ জুলাই ২০২০

জার্মানিতে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ছয় মাস পেরিয়ে গেছে৷ এর মধ্যে কন্টাক্ট ব্যান জারি হয়েছে, শিথিলও হয়েছে৷ কিন্তু মহামারি কি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে?

https://p.dw.com/p/3g7L0
Großbritannien I Coronavirus I Quarantäne für Touristen
ছবি: Getty Images/AFP/D. Leal-Olivas

চলাচল এবং স্বজনের সঙ্গে মেলামেশায় এখন জার্মানি অনেকটাই শিথিল৷ স্কুল খুলে গেছে, মাঝারি আকারের জমায়েতেও মিলছে অনুমতি৷ বাস-ট্রাম-ট্রেন এবং সুপারমার্কেটে মাস্ক পরা ছাড়া আর তেমন কোনো মহামারির লক্ষণও চোখে পড়ছে না৷ এমনকি গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণেও বের হচ্ছেন অনেক পর্যটনপ্রেমী৷

কিন্তু পুরোটা সময় করোনার সংক্রমণকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া জার্মান নীতিনির্ধারকেরা কী বলছেন? এখনই কী একেবারে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার সময় এসেছে? রবার্ট কখ ইনস্টিটুট আশঙ্কা করছে, হাঁফ ছাড়া তো দূরের কথা, সবচেয়ে খারাপ সময়টা এখনও আসেইনি৷

কিন্তু কেন? সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেছে৷ সংক্রমণ যখন তুঙ্গে ছিল তখনও ৪০ শতাংশের মতো আইসিইউ খালি রাখতে পেরেছে জার্মানির স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো৷ তাহলে এখন যখন সংক্রমণ কমে গিয়েছে, ভয় কিসের?

ইনস্টিটুটের প্রেসিডেন্ট লোথার ভিলার বলছেন, ‘‘সম্প্রতি সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে, যা নিয়ে রবার্ট কখ ইনস্টিটুটের সবাই খুব উদ্বিগ্ন৷ কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের হার স্থিতিশীল রাখতে পেরেছিলাম আমরা৷ কিন্তু এখন আবার কয়েকদিন ধরে বেশ উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রমণ বাড়তে দেখছি৷''

বেশ কয়েকটি অঞ্চলে গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর সেসব এলাকা লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার৷ দ্রুত এসব ক্লাস্টার চিহ্নিত করে তা নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে জার্মানিজুড়ে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে সরকার৷

জার্মান চ্যান্সেলারি মিনিস্টার হেলগে ব্রাউন জানান, ‘‘আমরা যদি এই গ্রীষ্মে নিজেদের ভ্রমণ করা ও বিনোদনের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারি, তাহলে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে আসছে শরৎকালে পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে যেতে পারে৷''

ইউরোপের অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে ইটালি, ফ্রান্স, স্পেন, ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক ভালোভাবে করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছে জার্মানি৷ এমনকি সংক্রমণ ও মৃত্যু যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তখন নিজেদের রোগী ছাড়াও ইটালি ও ফ্রান্স থেকে ক্রিটিক্যাল রোগী আকাশপথে এনে জার্মানির নানা হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়৷

গত ছয় মাসে জার্মানিতে দুই লাখের বেশি মানুষের সংক্রমণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, মারা গেছেন নয় হাজারের বেশি মানুষ৷

জার্মান সরকার শুরু থেকেই বেশ সতর্কভাবে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ সংক্রমণ নতুন করে বাড়ার পর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো থেকে আসা সব যাত্রীদের বিভিন্ন বিমানবন্দরে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার৷ জরিপে দেখা গেছে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকারের এমন তাৎক্ষণিক সতর্কতামূলক নীতির সমর্থন রয়েছে জনগণের মধ্যেও৷

মনির গায়েদি/এডিকে/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য