1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার কারণে বিপর্যস্ত ফ্রাংকফুর্টের ওরাং ওটাং

২৪ মার্চ ২০২১

করোনা ভাইরাস শুধু মানুষ নয়, আরও কিছু প্রাণীর শরীরে বাসা বাঁধছে৷ তাই ফ্রাংকফুর্ট শহরের চিড়িয়াখানায় ওরাং ওটাংয়ের সুরক্ষায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ তবে ভয়ংকর অবস্থা থেকে উদ্ধার করা এই প্রাণীগুলির পুনর্বাসনে বিলম্ব ঘটছে৷

https://p.dw.com/p/3r22L
ওরাং ওটাং
ওরাং ওটাংছবি: DW

করোনা সংকটের কারণে প্রাণীগুলির এর থেকে বেশি কাছে আসা সম্ভব নয়৷ খোরাক দেবার সময়েও দূরত্ব বজায় রাখতে হয়৷ করোনা ভাইরাস শুধু মানুষ নয়, ওরাংওটাংয়ের জন্যও বিপজ্জনক৷ সে কারণে প্রাণীগুলি খাঁচা থেকে বের হবার সুযোগ পাচ্ছে না৷

কয়েক মাস ধরে লকডাউনের ধাক্কায় ফ্রাংকফুর্ট চিড়িয়াখানার জঙ্গল স্কুলও বন্ধ রয়েছে৷ পশু চিকিৎসক রিরিস প্রাভেস্তি বলেন, ‘‘চিড়িয়াখানার জঙ্গল স্কুল বন্ধ হবার পর থেকে আমরা এই প্রাণীগুলিকে জংলি পরিবেশে খোরাক খোঁজার প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, সেই কাজে আগ্রহ জাগানোর চেষ্টা করছি৷ আমরা তাদের কাছে জংলি ফল নিয়ে আসি৷ উইপোকার বাসা ও জংলি ফলমূল দেখে ওরাংওটান শিখতে পারে৷’’

খোরাক পাতায় মোড়া থাকে৷ সেটির নাগাল পেতে কিছু পরিশ্রম করতে হয়৷ জঙ্গলে বাস করার জন্য এটা ভালো প্রস্তুতি৷

করোনা থেকে ওরাং ওটাং রক্ষার চেষ্টা

পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে কোনো আপোশ চলবে না৷ কর্মীরা দিনে দুই বার খাঁচা জীবাণুমুক্ত করেন৷ প্রতি তিন সপ্তাহ অন্তর গোটা টিম বদলানো হয়৷ এমনকি সাংবাদিকদেরও প্রবেশ নিষেধ৷ ফ্রাংকফুর্টের জুলজিকাল সোসাইটির এই প্রকল্পের প্রধান পেটার প্রাটইয়ে সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘মানুষ ও ওরাংওটাংয়ের ডিএনএ-র প্রায় ৯৭ শতাংশই এক৷ সে কারণে এই প্রাণী নানা রকম রোগের শিকার হতে পারে, বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বেশি৷ তাই মানুষের শরীরে বাসা বাঁধা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে আমাদের কোয়ারেন্টাইন ও সাবধানতামূলক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে৷ জংলি প্রাণীর শরীরে সম্ভবত এমন ধাক্কা প্রতিরোধ করার ক্ষমতাই নেই৷ এর মারাত্মক পরিণতি হতে পারে৷’’

ডয়চে ভেলে বেশ কয়েক বছর ধরে এই প্রকল্প সম্পর্কে রিপোর্ট করছে৷ তবে এর আগে এমন চ্যালেঞ্জ দেখা যায় নি৷ ওরাংওটাং-গুলিকে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের মাঝে তিগাপুলু রেন ফরেস্টে প্রাকৃতিক পরিবেশে বেঁচে থাকার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে৷ এই প্রাণীগুলিকে ভয়ংকর সব অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ফ্রাংকফুর্ট চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল৷ সেগুলি গাছে চড়া, খোরাক খোঁজা বা বাসা বাঁধার মতো ক্ষমতা ভুলে গেছে৷

চিড়িয়াখানার জঙ্গল স্কুলের কর্মীরা প্রাণীগুলিকে সেই শিক্ষা দিচ্ছেন৷ সাধারণত বন্য পরিবেশেই সেই শিক্ষা পাওয়া যায়৷ করোনা সংকটের আগে প্রাণীগুলিকে পিঠে করে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হতো৷ কারণ অনেক ওরাং ওটাং মোটেই হাঁটতে পছন্দ করে না৷

গোরেৎস্কি/সিগ/এসবি

গত জুলাইয়ের ছবিঘরটি দেখুন...