করোনার কবলে ক্রিসমাস, নিউ ইয়ারের পার্টি
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু ছাড়িয়েছে রেকর্ড৷ জার্মানি তাই হেঁটেছে কড়া লকডাউনের পথে৷ এমনকি ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ারের আয়োজনও বাতিল করা হয়েছে৷ বার্লিনের মদ্যশালাগুলো এখন কেমন চলছে? এ নিয়েই এই ছবিঘর৷
ওবারবাউমেক
করোনার কড়াকড়িতে বন্ধ হয়েছে মায়োর বার ওবারবাউমেক৷ লকডাউনে নিজের ব্যবসার ক্ষতি হলেও, এটাই একমাত্র পথ বলে মনে করেন তিনি৷ তিনি বলেন, “মানুষের দুর্দশার সময় তার পাশে থাকা উচিত৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন এর উলটোটা সত্যি৷ এখন দূরে থাকা মানেই কাছে থাকা৷’’
ক্রাস বোয়েজার ভোলফ
বার্লিনের এই বারটির ম্যানেজার মাক্স৷ তিনি বলেন, “আমার ধারণা ছিল বারের ব্যবসা সব সংকট থেকে মুক্ত৷ কারণ মানুষ সবসময়ই পান করতে ভালোবাসে৷ কিন্তু আমি ভুল ছিলাম৷ এই বছর আমাদের সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকা শিখিয়েছে৷ এটাই লকডাউন৷’’
রেভোল্টে
রেভোল্টে বারের ম্যানেজার কাতিয়া৷ লকডাউনে বার বন্ধ হওয়ায় বেশ হতাশ তিনি৷ কাতিয়া বলেন, “লকডাউনে বেঁচে থাকাই দায়৷”
উয়েবেরবেক
বার বন্ধ থাকলেও মার্কো প্রতিদিনই নিজের বার উয়েবেরবেক-এ এসে বসেন৷ তিনি বলেন, “৯০ এর দশকের একটি যুদ্ধজাহাজের নাম ছিল উয়েবেরবেক৷ আমার এই বারটিকেও যুদ্ধজাহাজই মনে হয়৷ আমার বন্ধু এবং কর্মচারিরা এখন অপেক্ষা করছেন কবে লকডাউন শেষে এই জাহাযে চড়ে নিজের বাড়ি যেতে পারবেন৷”
ভাইনার ব্লুট
নিজের বারের জানালায় বসে আছেন এভলিন উইনার৷ তিনি বলেন, "২০২০ আমাদের জন্য সত্যিই একটি কঠিন বছর৷ আমি এখনও আশাবাদী৷ আমি মনে করি এটি চলবে কিন্তু একসময় এর শেষ হবেই৷’’
জি-বার
নিজেদের বারের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন জি-বারের তিন কর্ণধার গুয়েনি, কনস্টানটিন এবং স্টিভ৷ গুয়েনি লকডাউনের সিদ্ধান্তে তেমন একটা খুশি না৷ তিনি বলেন, “এই সার্কাস যখন বন্ধ হবে, তখন কিভাবে বাইরে যেতে হয় সেটা ভুলে না গেলেই হয়৷’’
ওয়াট
এই বারের মালিক সিন্ডি৷ তিনি বলেন, “আমি যতক্ষণ সম্ভব, যেভাবে চলি সেভাবেই চলবো৷ এটা কেবল বেঁচে থাকার বিষয় নয়, অস্তিত্বের বিষয়৷ সামাজিক, সাংস্কৃতিক আবহ চর্চার স্থান যেমন বার, পাব, ইত্যাদি বন্ধ হয়ে গেলেও সংকৃতি চর্চা বন্ধ হবে না৷ কোনো না কোনো ভাবে অন্য কোথাও এটি চলতে থাকবে৷”
ডি টাগুং
এই বারের মালিকের নাম ড্যানিয়েল৷ তিনি বলেন, “আমি এখন একটা সময়ের অপেক্ষা করছি, যখন বার ওপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের আমি আবার ‘কেমন আছেন’ জিজ্ঞেস করতে পারবো৷ এখন বরং আমাকেই জিজ্ঞেস করা যেতে পারে, আমি কিভাবে টিকে আছি৷’’
মোলেনফ্রিডহফ
পেটার ও আন্দ্রেয়াও খুব বাজে সময় কাটাচ্ছেন৷ পেটার বলছেন, “আমরা এই লকডাউনের কারণ বুঝতে পারছি এবং মেনেও নিয়েছি৷ কিন্তু নিজেদের রাজনীতিবিদদের দাবার ঘুঁটি মনে হচ্ছে৷ এতদিনে আমাদের অনেক দূর আগানো উচিত ছিল৷
ফ্রাংকেন
এই বারের বারটেন্ডার নেট্টি৷ বার বন্ধ থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই বারে আসেন তিনি৷ বলছিলেন, “আমি মানুষজনের হাসি এবং উদ্দাম রাতগুলোর অভাব টের পাই৷’’