করোনার উপস্থিতি জানা যায় যেভাবে
করোনা ভাইরাস শরীরে আছে কি না, তা কীভাবে জানতে পারেন ডাক্তাররা, জানুন ছবিঘরে...
কাকে পরীক্ষা করা হয়?
সংক্রমণপ্রবণ জায়গায় থাকলেই কোনো ব্যক্তিত্বকে করোনা ভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করার দরকার নেই৷ সর্দিকাশি থাকলেও যে এই পরীক্ষা করতেই হবে, এমনটা নয়৷ কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকার কোনো নির্দিষ্ট কারণ না পাওয়া গেলে তখনই করোনা ভাইরাসের বিশেষ পরীক্ষা করা হবে বলে জানাচ্ছে জার্মানির রবার্ট কখ ইন্সটিটিউট৷
কেমন এই পরীক্ষা?
গলা বা গলা ও নাকের অংশ থেকে তরল নমুনা নেওয়া হয়৷ তারপর সেই নমুনা বিশেষ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করলেই ধরা পড়বে যে সেখানে করোনা ভাইরাস আছে কি না৷ এই পরীক্ষা করতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে৷ জার্মানিতে এই পরীক্ষা করাতে কোনো খরচ লাগেনা, কারণ তা রোগীর নিজস্ব স্বাস্থ্যবিমার আওতায় থাকে৷
আক্রান্তদের পরীক্ষার ফলাফল জানানো
নমুনা সংগ্রহ করা থেকে পরীক্ষাগারে সব রকমের যাচাই-বাছাই হওয়া থেকে সবশেষে সেই পরীক্ষার ফলাফল ডাক্তারের কাছে পৌঁছানো- এই পুরো প্রক্রিয়ায় লেগে যেতে পারে এক থেকে দুই দিন৷ এরপর সেই খবর রোগীকে জানানো ডাক্তারের দায়িত্ব৷ আলাদা ঘরে অন্যান্যদের থেকে দূরে বিশেষ সুরক্ষাবিধি মেনেই করোনা-আক্রান্তের সাথে দেখা করবেন ডাক্তার৷ বিশেষ পরিস্থিতিতে রোগীর বাসায় গিয়েও তা জানানো যেতে পারে৷
কতটা নির্ভুল এই পরীক্ষা?
প্রথম চেষ্টায় করোনা ভাইরাস ধরা না পড়া মানেই যে শরীরে এই সংক্রমণ নেই, তা নয়৷ যদি নমুনা সংগ্রহে কোনো ফাঁক থেকে যায়, তাহলেও সংক্রমণ ধরা পড়বে না৷ সে কারণেই সংক্রমণ থাকতে পারে এমন ব্যক্তিদের একাধিকবার এই পরীক্ষা করাতে হয়৷
অন্য কোনো পদ্ধতি আছে কি?
এই পরীক্ষা সঠিকভাবে করতে উন্নতমানের পরীক্ষাগার ও দক্ষ বিশেষজ্ঞ দরকার, যা অনেক জায়গায় নেই৷ চীনের মতো প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উন্নত দেশেও নেই এই প্রযুক্তি৷ ইউরোপ ও অ্যামেরিকাতেও পরীক্ষার নমুনা সমন্বয়ে রয়েছে গাফিলতি৷ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা থেকে নতুন প্রযুক্তি উঠে আসলেও তা এখনও ব্যবহারিক পর্যায়ে পৌঁছয়নি৷