করোনাতেও রমরমা তামাক ব্যবসা!
করোনায় অনেককিছুই থমকে গেলেও গবেষণা বলছে মহামারির সময়টিতে তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশে ঠিকই তাদের ব্যবসা আদায় করে নিয়েছে৷ এ সময়ে বাংলাদেশেও রমরমা তাদের ব্যবসা৷
সবচেয়ে বেশি জাপানে
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট জরিপকারি প্রতিষ্ঠানটি বলছে, করোনার সময়ে তামাক কোম্পানিগুলো নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে জাপান সরকারকে৷
সতর্ক ব্রুনাই
অবশ্য ব্রুনাইয়ে ততোটা সফলতা পায়নি তারা৷ গবেষণাটি বলছে, তামাক কোম্পানিগুলো করোনার সময়ে সবচয়ে কম প্রভাবিত করতে পেরেছে ব্রুনাইকে৷
জরিপের ধরন
৫৭টি দেশের উপর জরিপ পরিচালনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি৷ জরিপকরা দেশগুলোতে তামাক কোম্পানির প্রভাবের বিষয়টিকে তিনভাগে ভাগ করেছে তারা৷ এগুলো হলো ১) সবচেয়ে বেশি প্রভাব ২) মাঝারি প্রভাব ৩) কম প্রভাব৷
বেশি প্রভাবের তালিকায় বাংলাদেশ!
জরিপে বাংলাদেশের নাম এসেছে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়া দেশের তলিকায়৷ বলা হয়েছে, এ সময় বাংলাদেশ সরকার তামাকজাত পণ্যের উপর কর কমিয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ মোট ১৯টি দেশ রয়েছে এ তালিকায়৷
মাঝারি প্রভাব
জার্মানি ও মালয়েশিয়াসহ মোট ১৯টি দেশের উপর তামাক কোম্পানিগুলোর মাঝারিমানের প্রভাব রয়েছে৷
কম প্রভাব
মালদ্বীপ, শ্রীলংকাসহ বাকী ১৯টি দেশে তামাক কোম্পানির প্রভাব কম৷
জরুরি পণ্যের তালিকায় তামাক
জরিপটিতে বেশকিছু অবাক করা তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷ যেমন, করোনার সময়ে তামাকজাত পণ্যকে জরুরি পণ্যের তালিকায় রেখেছে কেনিয়া সরকার৷
হাজার কোটি টাকার বাজার
২০১৯ সালের তথ্য উল্লেখ করে জরিপে বলা হয়েছে তামাক উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি বছর প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করে থাকে৷