করোনাকালে মেক্সিকোর নির্বাচন, প্রচারে সহিংসতা
করোনায় বিপর্যস্ত মেক্সিকোর নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল ছিল। রোববার সেই নির্বাচন হলো।
করোনাকালের নির্বাচন
মেক্সিকোয় করোনার তাণ্ডব ছিল প্রবল। আক্রান্তদের মধ্যে নয় দশমিক ৪১ জন মারা গেছেন। মৃত্যুর হার বিশ্বে সব চেয়ে বেশি। করোনাকালের নির্বাচনে ভোট দেয়া নিয়ে মানুষের উৎসাহ ছিল যথেষ্ট।
কেন এই নির্বাচন
মেক্সিকোর স্থানীয় পরিষদের ১৪ হাজার সদস্য, ১৪ জন গভর্নর, দুই হাজার মেয়র, স্টেট কংগ্রেসের এক হাজার সদস্য ও ৫০০ জন ডেপুটিকে বেছে নিতেই এই নির্বাচন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে গভর্নর পদে এক নারী প্রার্থীকে।
কেন গুরুত্বপূর্ণ
প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওব্রাডরের কার্যকালের তিন বছর শেষ হয়েছে। কিন্তু যেভাবে করোনা মেক্সিকোর অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে, মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, বেকারত্ব বেড়েছে, তাতে মানুষ ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভ ভোটের বাক্সে পড়লে, প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। কংগ্রেসে লোপেজের শরিকরা গরিষ্ঠতা বজায় রাখতে পারবেন কি না সে প্রশ্নও আছে।
প্রচারে প্রবল হিংসা
মেক্সিকোর নির্বাচনের প্রচার ছিল রীতিমতো সহিংস। বহু প্রার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। ২৭০টি প্রচার সংক্রান্ত ঝামেলা হয়েছে। এছাড়া হুমকি দেয়ার বহু অভিযেোগ পুলিশের কাছে জমা পড়েছে। ২০১৫-র তুলনায় সহিংসতা ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থনীতির প্রভাব
করোনায় বিপর্যস্ত হয়েছে মেক্সিকোর অর্থনীতি। জাতিসংঘ ও অন্য কিছু সংস্থার সমীক্ষা বলছে, করোনার ফলে অর্থনীতিতে যে আঘাত এসেছে, তাতে মেক্সিকোয় গরিবের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে। তার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে।
ভোট দিতে উৎসাহ
প্রচুর মানুষ করোনাকালে সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে ভোট দিয়েছেন। ছিল বিশাল লাইন। পুলিশের উপস্থিতিও ছিল যথেষ্ট।
প্রাথমিক ফলাফল
প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী,,কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট লোপেজের বামপন্থি দলের শক্তি কমেছে। তাদের আরো বেশি করকে শরিকদের উপর নির্ভর করতে হবে।