করোনাকালে ‘আধুনিক দাসত্বের’ ঝুঁকিতে পোশাক শ্রমিকরা

কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ভেরিস্ক ম্যাপেলক্রফট নতুন মর্ডার্ন স্লেভারি ইন্ডেক্স প্রকাশ করেছে৷ সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের অবস্থার অবনতি হয়েছে৷ প্রথমবারের মতো এই দুটি দেশ ‘ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে৷ ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ ৩২টি দেশের তালিকায় চীন ও মিয়ানমারও রয়েছে৷ শ্রম দাসত্বের ভয়াবহ ঝুঁকিতে এই দেশগুলো৷

ভেরিস্ক ম্যাপেলক্রফটের মানবাধিকার বিশ্লেষক সোফিয়া নাজালিয়া বলছেন, করোনা সংক্রমণের কারণে এসব দেশে শ্রম দাসত্বের ঝুঁকি বেড়েছে৷ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে তাদের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত করোনার কারণে এশিয়ার পোশাক কারখানাগুলো ৫৮০ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক বিশ্বের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাছে সরবরাহ করতে পারেনি৷ ক্লিন ক্লথ ক্যাম্পেইন গত মাসে জানিয়েছিল, করোনার কারণে বিভিন্ন ব্র্যান্ড অনেক পোশাকের অর্ডার বাতিল করেছে৷

এশিয়ার গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে ৬ কোটি মানুষ কাজ করেন৷ করোনার কারণে বিক্রি ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় অনেকেই রয়েছেন চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে৷ সংসার চালাতে অনেকেই নিজেদের সন্তানদের এই কাজে নিয়ে আসছেন৷

নাজালিয়ার মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে আধুনিক দাসপ্রথার এই ঝুঁকি সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে৷

গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের৷ ১৯৮টি দেশের মধ্যে তাদের অবস্থান ৩২ ও ৩৫৷ উত্তর কোরিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়াও শ্রম দাসত্বের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে৷