করোনা সংকটে আশার আলো দেখাচ্ছেন ফরাসি শিল্পী
ছবি একটু বড় হলে ক্ষতি কী! ফরাসি শিল্পী সেইপ সুইজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতের উপর প্রায় ৩,০০০ বর্গমিটার আয়তনের ছবি এঁকেছেন৷ করোনা সংকটের মাঝে আশার আলো জাগিয়ে তুলতেই এই প্রয়াস৷
খোলা আকাশের নীচে ক্যানভাস
সুইজারল্যান্ডের লেইসিন এলাকার এক পাহাড়ে আক্ষরিক অর্থেই বড় শিল্প সৃষ্টি হয়েছে৷ প্রায় ১,২০০ মিটার উচ্চতায় ঘাসজমিকেই ক্যানভাস করে তুলেছেন ফরাসি শিল্পী সেইপ৷
দর্শকের স্থান উপরে
সমতলে দাঁড়িয়ে এই শিল্পকর্ম উপভোগ করার উপায় নেই৷ তার জন্য আকাশে পাড়ি দিতে হবে৷ উপর থেকেই ‘সংকট ছাড়িয়ে’ নামের এই ছবির প্রকৃত মর্ম বোঝা সম্ভব৷ শৈলশিলার উপর আচমকা একটি মেয়েকে বসে থাকতে দেখা যায়৷ স্বপ্নভরা দৃষ্টিতে সে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে চলেছে৷
তৃতীয় মাত্রা
বিমান অথবা ড্রোনের মাধ্যমে একমাত্র সঠিক অ্যাংগেল বা কোণ থেকেই এই ছবির থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক রূপ দেখা যায়৷ দেখলে মনে হবে মেয়েটি যেন সত্যি মাথা উঁচু করে রয়েছে৷
প্রথমে স্ট্রিট পেইন্টিং, তারপর ল্যান্ড আর্ট
সেইপের আসল নাম গিয়োম লেগ্রো৷ কোনো প্রথাগত প্রশিক্ষণ নেন নি, নিজেই সব কায়দা শিখে নিয়েছেন৷ আগে তিনি রাজপথের উপর স্প্রে করতেন৷ গত পাঁচ বছর ধরে তিনি ল্যান্ড আর্ট নিয়ে মেতে রয়েছেন৷
সমবেত উদ্যোগ
এত বড় ফর্ম্যাটে ছবি আঁকতে হলে সবচেয়ে বড় শিল্পীরও সহায়তা লাগে৷ সহকারী লিওনেল সেইপকে সাহায্য করে থাকেন৷ চক ও কাঠকয়লার মিশ্রণ দিয়ে অরগ্যানিক রং তৈরি করেন তাঁরা৷
আশা জাগাতে রংয়ের বাহার
তারপর স্প্রে করা হয়৷ আইন মেনেই সব কাজ করা হয়৷ মাঠের জমির মালিক একজন চাষি এবং শিল্পীর বন্ধু৷ গোটা বিশ্বের জন্য কঠিন এই সময়ে শিল্পী এভাবে আশার আলো দেখাতে চান৷
ছবির মাধ্যমে বার্তা
সেইপ তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে এক ইতিবাচক বার্তা পাঠাতে চান৷ ৩১ বছর বয়সি এই শিল্পী বলেন, ‘‘প্রায় তিন হাজার বর্গমিটার বড় এই ফ্রেসকো আরো সংহতি ও মানবিকতার ভিত্তিতে আবার সবকিছু গড়ে তোলার কথা যেন মনে করিয়ে দেয়৷’’ করোনা সংকট শেষ হবার পর বিশ্বের মানুষ সমষ্টিগতভাবে একই দিশায় পাড়ি দেবে, এমনটাই তাঁর আশা৷
ক্ষণস্থায়ী শিল্পের জন্য কঠিন পরিশ্রম
এই শিল্পকর্ম কিন্তু চিরস্থায়ী নয়৷ আরো ঘাস গজালে দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে ছবিটি প্রকৃতির মধ্যেই মিলিয়ে যাবে৷