1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জবাব দিতে হবে জনসন সরকারকে

২২ এপ্রিল ২০২০

যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবেলায় রীতিমত হিমশিম খাওয়া বরিস জনসন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে বিরোধী দলগুলো তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3bGMR
ছবি: Reuters/Pippa Fowles/No 10 Downing Street

ইউরোপের যে কয়েকটি দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে তার অন্যতম যুক্তরাজ্য৷ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যানুযায়ী বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক লাখ ৩০ হাজার ১৮৪ জন এবং মোট মৃত্যু ১৭,৩৩৭ জন৷ খোদ প্রধানমন্ত্রী জনসন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা নিতে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে৷

জনসন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷ যথেষ্ট টেস্টও করাতে পারেনি, এমনকি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটেক্টিভ গিয়ার পর্যন্ত সরবরাহ করতে পারেনি৷ যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশে চিকিৎসাকর্মীদের পলিথিন ব্যাগ পরে করোনা আক্রান্তদের সেবা দিতে হয়েছে৷ যে কারণে সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমিত হওয়ায় হারও অনেক বেশি৷ কয়েকজন মারাও গেছেন৷

ইউরোপে বিশেষ করে ইটালি, স্পেন ও ফ্রান্সে যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিপজ্জনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছিল এবং বিস্তার রোধে দেশগুলোর সরকার কড়াকড়ি আরোপ করছিল, তখনও জনসন দেশজুড়ে যাতায়াত ও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিপক্ষে ছিলেন৷

পরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ এ যুক্তরাজ্যে তিন লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করলে জনসন লকডাউন ঘোষণা করেন৷

সময়মত ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভেন্টিলেটর স্কিম’ এ যোগ দিতে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়েজনীয় সুরক্ষা যন্ত্রের যোগান দিতে ব্যর্থ হওয়ার দায় কাঁধে নিয়ে জনসন সরকার অবশ্য এর কারণ বোঝাতে জটিল একটি ব্যাখ্য দিয়েছে৷ তবে বিরোধী দলগুলো তাদের এই ব্যাখ্যা মানতে রাজি নয়৷

বুধবার এক বিবৃতিতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের ভারপ্রাপ্ত নেতা ইডি ডেভি বলেন, ‘‘বৈশ্বিক এই মহামারিতে সরকার যেভাবে সড়া দিয়েছে অবশ্যই তার আনুষ্ঠানিক তদন্ত হওয়া উচিত৷

‘‘কেন সরকার আশ্চর্যজনকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা যন্ত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, তার সত্যি কারণ জানাতে জনসন সরকারকে সুযোগ দেওয়া উচিত৷ দিন দিন সবার মনেই এই প্রশ্ন জাগছে৷’’

বিরোধী লেবার পার্টির নেতা কির স্টারমারও মনে করেন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সরকার পিছিয়ে ছিল এবং একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যকে এই সংকটে পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখতে হবে৷

এসএনএল/জেডএইচ (রয়টার্স)