1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা মৃত্যুর জন্য ট্রাম্প দায়ী থাকবেন, কটাক্ষ বাইডেনের

১৭ নভেম্বর ২০২০

সোমবার ডনাল্ড ট্রাম্পকে এক হাত নিলেন অ্যামেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্প ক্ষমতা না ছাড়লে করোনা-মৃত্যু বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন।

https://p.dw.com/p/3lO20
ছবি: Leah Millis/REUTERS

ট্রাম্প ক্ষমতা না ছাড়লে অ্যামেরিকায় করোনা মৃত্যু আরো বাড়বে। সোমবার এ ভাবেই ডনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করলেন ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর বক্তব্য, ট্রাম্পের জন্য তাঁর করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের পরিকল্পনার রূপায়ণ সম্ভব হচ্ছে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অঙ্কের হিসেবে জিতেছেন তিনি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিযোগ জো বাইডেন ভোট কারচুপি করে জিতেছেন। ফলে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে চাইছেন না। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। সরকারি ভাবে মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলও ঘোষণা করা হয়নি। শুধু তাই নয়, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সরকারি অফিসাররা ধীরে ধীরে পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে কাজ বুঝিয়ে দেন। সরকারি খবরাখবর তাঁকে দেওয়া হয়। নতুন প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন পরিকল্পনা কী ভাবে রূপায়িত করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন অফিসররা। অ্যামেরিকায় এই সময়টিকে বলা হয় ট্রানজিশন ফেস। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সেই সময় চলার কথা। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণ করবেন।

ভোটে জিতেই বাইডেন এবং ভাবী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছিলেন। কী ভাবে ভ্যাকসিন বন্টন হবে, তা নিয়েও নানা পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। কিন্তু সরকারি অফিসাররা এখনো তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। সরকারি ব্রিফিংও পাচ্ছেন না বাইডেন। কারণ, সরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা হয়নি। ট্রাম্প অফিস ছাড়তে চাইছেন না। ফলে এক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

বাইডেনের অভিযোগ, ট্রাম্পের এই একগুঁয়েমির জন্য করোনা নিয়ে তাঁর সমস্ত পরিকল্পনা থমকে গিয়েছে। ভ্যাকসিন বন্টনের পরিকল্পনাও কার্যকরী করা যাচ্ছে না। এর ফলে আরো মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যার দায় নিতে হবে ডনাল্ড ট্রাম্পকে।

ট্রাম্প অবশ্য রোববারেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভোটের ফলাফল তিনি মেনে নিচ্ছেন না। এখনো রিগিং করে বাইডেন জিতেছেন বলে অভিযোগ করছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ারও হুমকি দিচ্ছেন। বাইডেনের অভিযোগ, এর ফলে তাঁর কাজ প্রায় দেড় মাস পিছিয়ে যাবে। করোনার এই ভয়াবহ সময়ে দেড় মাসে অনেক কাজ করা যেত, যা ট্রাম্পের জন্য সম্ভব হচ্ছে না।

সোমবার অবশ্য বাইডেন এবং হ্যারিস দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলির প্রধানদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে মার্কিন অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। আগামী দিনে আরো খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় কী ভাবে সংস্থাগুলি কাজ করবে, কী ভাবে তাদের অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়া যায় এই বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)