1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা মৃত্যু তিন লাখ ছাড়ালো

১৫ মে ২০২০

এই মুহূর্তে অ্যামেরিকার পরে ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতি সব চেয়ে উদ্বেগজনক। প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।

https://p.dw.com/p/3cFZa
ছবি: Reuters/B. Kelly

তিন লাখ ছাড়িয়ে গেলো বিশ্ব জুড়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। আক্রান্ত ৪৫ লাখ ২৫ হাজার। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিভিন্ন দেশে। বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারও এক দিনে রেকর্ড সংখ্যাক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ব্রাজিলে। তবে অন্য ছবিও আছে। স্লোভেনিয়া জানিয়েছে, তাদের দেশ এখন করোনামুক্ত। অস্ট্রেলিয়াতেও রেস্তোরাঁ এবং পাব খুলতে শুরু করেছে।

মানুষকে রোগের হাত থেকে বাঁচানো হবে, না কি অর্থনীতি চাঙ্গা করা হবে, এটাই এখন বিশ্ব জুড়ে সব চেয়ে বড় প্রশ্ন। যত দিন যাচ্ছে বিশ্ব জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা ততই প্রকট হচ্ছে। সর্বশেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যামেরিকায় এর মধ্যেই ৩০ লাখ মানুষ বেকার হিসেবে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকেই অ্যামেরিকায় বেকারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দ্রুত কাজ কর্ম স্বাভাবিক না হলে এই সংখ্যা লাফিয়ে বাড়বে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও বিষয়টি বুঝতে পারছেন। ফলে প্রায় প্রতিদিনই অর্থনীতির স্বার্থে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার কথা বলেন তিনি। কিন্তু তা করলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৃহস্পতিবারও জানিয়েছে, লকডাউন দ্রুত তুলে নিলে বিশ্ব জুড়ে আরও সংকট তৈরি হবে। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়বে। অ্যামেরিকার চিকিৎসকরাও বলছেন, এখনও দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে সব কিছু খুলে দিলে আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়বে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অ্যামেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৫৭ হাজার। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮৭ হাজার লোকের। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার মানুষ।

অর্থনীতির কথা মাথায় রেখেই প্রাথমিক ভাবে লকডাউনের রাস্তায় যায়নি ব্রাজিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহে সেখানে রেকর্ড সংখ্যায় আক্রান্ত বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ তিন হাজার। মৃত ১৪ হাজার। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় ডনাল্ড ট্রাম্পের ক্লাব মার-এ-লোগো আংশিক ভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। 

এ দিকে অ্যামেরিকায় একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে করোনার চিকিৎসায় হাইড্রোক্লোরোকুইন ওষুধ আসলে কাজে লাগছে না। প্রথামিক ভাবে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই ওষুধটি করোনার চিকিৎসায় কাজে লাগানো হচ্ছিল। ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ এই ওষুধ আমদানি করেছিল অ্যামেরিকা। যদিও তখনই গবেষকদের একটি অংশ সতর্ক করেছিল। বলা হয়েছিল, এই ওষুধের ভুল প্রয়োগে হার্টের সমস্যা হতে পারে। নতুন গবেষণা বলছে, আদৌ এই ওষুধে করোনা রোগীদের কোনও সুবিধা হয়নি।

এ দিকে স্লোভেনিয়া নিজেদের দেশকে 'করোনামুক্ত' বলে ঘোষণা করেছে। গত দুই সপ্তাহে ৭ জনেরও কম করোনা আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে বলে দেশের প্রশাসন জানিয়েছে। এই প্রথম ইউরোপের কোনও দেশ নিজেদের করোনামুক্ত বলে দাবি করলো।

অন্য দিকে অ্যামেরিকার চিকিৎসকরা আরও একটি উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, করোনার কারণে ছোট ছোট শিশুদের শরীরে জটিল অসুখ দেখা যাচ্ছে। কিডনি, হার্ট এবং ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী অসুখের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। বেশ কিছু শিশুর শরীরে এর মধ্যেই তার প্রমাণ মিলেছে বলে তাঁদের দাবি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)