করোনা মাতা মন্দির তৈরি ও ভাঙার কাহিনি
উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ে তৈরি হয়েছিল করোনা মাতা মন্দির। পুজোও শুরু হয়েছিল। পাঁচদিন পরে সেই মন্দির ভাঙা হয়।
করোনা মাতা মন্দির
উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ে জুহি শুকুলপুর গ্রাম। সেখানেই তৈরি হয়েছিল করোনা মাতা মন্দির। উদ্দেশ্য, করোনা মাতা দেবীর দয়ায় সংক্রমণ থেকে বাঁচা।
পুজো শুরু
মন্দির তৈরি করেছিলেন লোকেশ কুমার শ্রীবাস্তব। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে মন্দির হয়। রাধেশ্যাম বর্মাকে পুরোহিত নিযুক্ত করা হয়। শুরু হয় দেবীর পুজো। মানুষ পুজো দিতে শুরু করেন।
মন্দির ভাঙা হলো
পাঁচদিন পর মন্দির ভাঙা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে জমিতে মন্দির হয়েছিল, তা বিতর্কিত। জমির মালিক তিনজন। অভিযোগ, মন্দির করে জমিটা নিজের কব্জায় আনতে চেয়েছিল এক মালিক। অন্য এক মালিক মন্দির ভেঙে দিয়েছে। ফলে করোনা মাতা মন্দির স্থায়ী হলো মাত্র পাঁচদিন।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি
আগের তুলনায় কমলেও ভারতে করোনার প্রকোপ যথেষ্ট। মঙ্গলবার ৬০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মার গেছেন দুই হাজার ৭২৬ জন। উত্তর প্রদেশেও করোনার প্রকোপ কমেছে। তবে বহু শহরে এখনো করোনার কড়াকড়ি রয়েছে।
টিকার কর্মসূচি
যে হারে এখন টিকা দেয়ার কাজ চলছে, তাতে সব ভারতীয়ের করোনার টিকা পেতে কয়েক বছর লেগে যাবে। তাই ১৫ দিন বিশেষ টিকা-অভিযান চালাবে সরকার। প্রতিটি রাজ্যে টিকা দেয়ার হার অনেকটাই বাড়ানো হবে। তারপই মধ্যে শুরু হয়েছিল করোনা মাতা মন্দিরের পুজো। তবে এখন মন্দির ভেঙে দেয়ায় পুজোও বন্ধ।