করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সফল চীন
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে৷ শুরুতে চরম অব্যবস্থাপনা থাকলেও পরে নানা কাড়াকড়ি আরোপ করে চীন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে৷
স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না
তিনমাস আগে করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথম স্থানীয়ভাবে নতুন করে কেউ করোনায় সংক্রমিত হয়নি বলে জানায় চীন৷
পর্যটকরা ফিরছেন করোনা নিয়ে
তবে চীনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা একেবারে শূণ্যে নেমে যায়নি৷ দেশটিতে নতুন করে ৩৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যাদের সবাই বিদেশ থেকে ফিরেছেন৷
শুরুতে অবহেলা
চীনও শুরুতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি৷ বরং যে চিকিৎসক প্রথম নতুন এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছিলেন তাকে পুলিশি জেরা মুখে পড়তে হয়েছিল, ওই চিকিৎসকও পরে মারা যান৷ শুরুতে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনা ছিল চোখে পড়ার মত৷ যে কারণে উহান থেকে অন্যান্য এলাকায়ও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে৷
চীনে মৃত্যু
চীনে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ যাদের বেশির ভাগই হুবেই প্রদেশ বিশেষ করে উহানের বাসিন্দা ছিলেন৷
বোধোদয়
গত বছর ৩১ ডিসেম্বর হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়৷ তখনই গুরুত্ব দিলে হয়তো এই ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর রূপ নিত না৷ তবে অবস্থার গুরুত্ব বুঝতে পেরে জানুয়ারির শেষ দিকে পুরো প্রদেশ লকডাউন করে দেয়৷ যার ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া দ্রুত কমতে শুরু করে৷
বিপদ এখনো কাটেনি
চীনের বিপদ এখনো কাটেনি৷ লকডাউন শেষ হওয়ার পর জীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে৷ আটকে পড়া পর্যটকরাও ফিরতে শুরু করেছেন৷ তাদের কেউ কেউ শরীরে করোনা নিয়ে ফিরছেন৷ হংকং ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ বেন কাউলিং বলেন, ‘‘কড়াকড়ির কারণে চীন সংক্রমণের প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে৷ কিন্তু এই কড়াকড়ি দীর্ঘমেয়াদে থাকবে না৷ সেক্ষেত্র দ্বিতীয় ধাক্কা আসলে কি হবে সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷’’