করোনা-পর্বেও উৎপাদনে টেসলা
বিশ্বের প্রথম সারির ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলার প্রধান এলন মাস্ক জানিয়েছেন শিগগিরই উৎপাদনে ফিরছে তারা৷
অপেক্ষার অবসান
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সারা বিশ্বে ছড়ানোর আঁচ এসে পড়েছিল টেসলার জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারখানাগুলিতেও৷ ২৩ মার্চ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্ট শহরের এই কারখানাটি বন্ধ থাকার পর আবার চালু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলন মাস্ক৷ এতদিন, এই কারখানা ছিল জনমানবশূন্য৷
নিয়ম ভাঙছে টেসলা?
চলতি সপ্তাহের শুরুতে এলন মাস্ক জানান, স্থানীয় বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই ক্যালিফোর্নিয়ার এই কারখানাটি চালু করা হচ্ছে৷ এই কারখানায় সাধারণত ১০ হাজার কর্মচারী কাজ করে৷ কারখানা চালু হবার পর সেখানের গাড়ির পার্কিং করার জায়গাটি পুরোপুরি ভর্তি ছিল৷
কড়া বার্তা দিলেন মাস্ক
ফ্রেমন্টের কারখানা চালু করার পর টেসলার সাথে কেমন আচরণ করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখন, সেটাই দেখার৷ যদিও ইতিমধ্যে টুইটারে এলন মাস্ক জানিয়েছেন যে, প্রয়োজন পড়লে এই কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নিতেও পেছপা হবেন না তিনি৷ শুধু তাই নয়, তিনি বলেন যে, অবস্থার প্রয়োজনে টেসলার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ও সরিয়ে টেক্সাস বা নেভাডায় নিয়ে যেতে পারেন তিনি৷
জার্মানিতে চলছে প্রস্তুতি
বর্তমানে খবরের শীর্ষে ফ্রেমন্টের এই কারখানা উঠে এলেও পিছিয়ে নেই বার্লিনে টেসলার গিগাফ্যাক্টরি প্রকল্পের কাজও৷ জার্মান সরকারের করোনা বিষয়ক কড়া নীতি অবলম্বন সত্ত্বেও চলছে কাজ৷ কারখানার ঘর তৈরির অনুমতি এখনও না পাওয়া গেলেও জঙ্গল সাফাই করার কাজ সম্পূর্ণ৷
প্রয়োজনে পিঁপড়ারও স্থান বদল
পরিবেশবিদদের পরামর্শে, টেসলার গিগাফ্যাক্টরি প্রকল্পের অঞ্চলে বসবাসরত বাদুড় ও পিঁপড়াকে সরাতে রাজি হয়েছেন এলন মাস্ক৷ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে অন্য কোনো বাসযোগ্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে৷
টেসলার পাশেই জার্মানি
জার্মান অর্থনীতি মন্ত্রী পেটার আল্টামায়ার জানিয়েছেন যে, করোনা সংকট টেসলার এই প্রকল্পের জন্য কোনো বড় বিলম্ব বয়ে আনবে না৷ বার্লিনের পাশে গ্র্যুনহাইডে অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে এই প্রকল্প৷ স্থানীয়দের কাছে এই প্রকল্প ইতিমধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে৷
২০২১ সালেই কি তৈরি হবে গাড়ি?
স্থানীয়দের বেশির ভাগ মানুষ টেসলার পাশে থাকলেও ৩৭৩টি নালিশও জমা পড়েছে, যার ফলে জার্মানিতে টেসলার ভবিষ্যৎ কিছুটা হলেও প্রশ্নের মুখে৷ ২০২১ সালের মধ্যে এই কারখানা থেকে গাড়ি বাজারে আসার কথা থাকলেও, বাড়তি খরচ ও পুরোদমে যানবাহনের ঝঞ্ঝাটের সম্ভাবনা গ্র্যুনহাইডের মতো ছোট অঞ্চলে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে৷