1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা ছড়ালো ইরানে, মৃত ২

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীনের বাইরে এ বার করোনার দাপট। ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জন মারা গিয়েছেন৷ দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ অন্য দিকে চীনে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত৷

https://p.dw.com/p/3Y2G0
ছবি: picture-alliance/dpa/YNA

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইরানে মারা গেলেন দুই জন বয়ষ্ক ব্যক্তি৷ স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, বয়স হয়ে গিয়েছিল বলে তাঁরা করোনার সঙ্গে লড়াই করতে পারেননি৷ চিন্তার কথা হল, এই প্রথম মধ্য প্রাচ্যেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক দিন আগেই সতর্ক করেছে, গরিব দেশগুলিতে একবার যদি করোনা ঢুকে পড়ে, তা হলে তা মহামারির মতো ছড়াবে৷ তখন করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনা গরিব দেশগুলির পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে৷

চীনের মতো দেশ এতদিন ধরে চেষ্টা করেও করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১১২ জনের৷ তার মধ্যে হুবেইতে মারা গিয়েছেন ১০৯ জন৷ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৪৯ জন৷ হুবেই কর্তৃপক্ষ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম করে দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে৷

চীনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ায় আরও ৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ সবমিলিয়ে সেখানে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৮২ জন৷ নতুন ৩১ জন করোনায় আক্রান্তের মধ্যে ২৩ জন একটি চার্চে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাঁদের দেহে জীবাণু ছড়িয়েছে বলে সন্দেহ। কারণ সেখানে ৬১ বছরের একজন করোনা আক্রান্ত প্রার্থনার সময় এসেছিলেন৷ চার্চের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, তাঁদের দশজন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷  

করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন উহানের ইয়াংইয়াং৷ তারপর প্রায় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছেন। সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে উহানের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। টুইটে তিনি লিখেছেন, ''ডিমও যে এত সুস্বাদু খেতে লাগে, তা বুঝলাম৷'' করোনার পর জীবন ফিরে পেয়ে তিনি বুঝতে পারছেন ডিমের স্বাদও অমৃতসমান৷ ইয়াংইয়াং জানিয়েছেন, ''উহানে করোনায় আক্রান্ত ১৪ হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে প্রদেশের বাইরে চলে এসেছেন৷'' 

ইয়াংইয়াং এর সুস্থ হওয়ার কাহিনিও চমকপ্রদ৷ তিনি ও তাঁর বাবা যখন প্রথম অসুস্থ হন, তখন উহানে করোনা পরীক্ষা করার কিট ছিল না৷ এক সপ্তাহ পরে সেই কিট আসে, তাঁর পরীক্ষা হয় এবং দেখা যায় তিনি আক্রান্ত৷ কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, দ্বিতীয়বার ফল পজিটিভ হলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। এরপর ইয়াংইয়াং একটা মর্মস্পর্শী টুইট করেন৷ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘এভাবেই কি তাঁকে মরতে হবে?’’ সেই টুইট ভাইরাল হয়। তারপর তিনি হাসপাতাল থেকে ফোন পান। তাঁকে ভর্তি করা হয়৷ দু'দিন পরে তাঁর বাবাকেও৷ এখন তাঁর চিন্তা সেই উহানবাসীদের জন্য, যাঁরা পরিস্থিতি খুব খারাপ না হলে চিকিৎসা পাচ্ছেন না৷

এরকমই একজন হলেন পেং৷ তিনি জানুয়ারিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ তবে হাসপাতালে ভর্তি হতে পেরেছেন মাত্র গত সপ্তাহে, শ্বাসকষ্ট হওয়ার পর৷ তারপরেও তিনি বেঁচে গিয়েছেন৷ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন৷ এখন অবশ্য স্বেচ্ছায় নিজেকে ঘরবন্দি রেখেছেন তিনি৷

উহানের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে এত বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন যে পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে চীনের প্রশাসন৷ চীনের যখন এই অবস্থা, তা হলে কোনও গরিব দেশে করোনা ঢুকে গেলে কী অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়৷

জিএইচ/এসজি (আল জাজিরা, এপি, রয়টার্স)