করোনা কালে পাল্টে যাচ্ছে জার্মানদের খাদ্যাভ্যাস
রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় আর বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করতে হয় বলে জার্মানদের রান্না ও খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে৷ এর প্রভাব কি দেশটির খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও পড়তে যাচ্ছে?
ঘরে রান্না বেড়েছে
কোভিডে-১৯-এর কার্যকর চিকিৎসা না থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই লড়াইয়ের বড় অস্ত্র৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাই তাজা ও পুষ্টিকর খাবার৷ এজন্য জার্মানরা ঘরে রান্না খাবারের দিকে ঝুঁকেছেন৷
চার জনে একজন
প্রতি চার জনে এক জন জার্মান আগের তুলনায় এখন রান্না ঘরে বেশি সময় দিচ্ছেন৷ এক জরিপে দেখা গেছে, ১৮ শতাংশ জার্মান স্বাস্থ্যকরভাবে খাবার রান্না করতে, ৭০ শতাংশ আরো বেশি তাজা সবজি ও সালাদ খেতে এবং ৪৮ শতাংশ নিরামিষ খাবার খেতে নিজেই রান্না করছেন৷
টান পড়েছে ময়দা ও ইস্টে
জরিপে অংশ নেওয়া ৩৮ শতাংশ জার্মান বলেছেন, তারা এখন আগের তুলনায় বাড়িতে অনেক বেশি রুটি বানাচ্ছেন৷ ফলে সুপারশপগুলোতে মাঝেমধ্যেই ময়দা ও ইস্ট পাওয়া যাচ্ছে না৷
মাংস খাওয়া কমছে?
যদিও গত কয়েক বছর ধরে জার্মানদের মধ্যে মাংস খাওয়ার প্রবণতা কমতে শুরু করেছে৷ বিশেষ করে তাদের প্রিয় শূকরের মাংস৷ ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে মাংস খাওয়া কমছে৷
তরুণরা মাংসের বিকল্পে ঝুঁকছে
জার্মান তরুণরা প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাংসের বিকল্প খাবারে আগ্রহী হয়ে উঠছে৷ তাদের মাঝে কৃত্রিম (ভেগান) মাংস বা পোকামাকড় থেকে তৈরি খাবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷
শরীরচর্চা বেড়েছে
করোনা কালে শরীর ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি জার্মানরা সাইকেল চালানো ও যোগ ব্যায়ামেও মনযোগী হয়ে উঠেছে৷