1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা: অ্যামেরিকায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে

২৫ জানুয়ারি ২০২১

করোনা থামানো যাচ্ছে না। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আবার অ্যামেরিকায় ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন।

https://p.dw.com/p/3oMNc
করোনা ঠেকাতে অ্যামেরিকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন বাইডেন।ছবি: picture alliance / ZUMAPRESS.com

অ্যামেরিকায় দুই কোটি ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশজুড়ে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে, কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, ঠিকভাবে টিকার বিতরণ হয়নি। বাইডেন প্রশাসন ব্যর্থতার দায় ট্রাম্প প্রশাসনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি বাইডেন সোমবার করোনা রুখতে কয়েকটি ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করতে পারেন। যার মধ্যে আছে, বিদেশিদের অ্যামেরিকায় ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা। সেই সঙ্গে মাস্ক পরা নিয়ে আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বভার নেয়ার পর বাইডেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ফেডারেল ভবনে মাস্ক পরে ঢুকতে হবে। আর বাইরে থেকে অ্যামেরিকায় এলে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। বাইডেন এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন, আগামী মাসে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। গতবছর ৩১ জানুয়ারি ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, চীন থেকে মার্কিন নাগরিক ছাড়া আর কেউ অ্যামেরিকায় ঢুকতে পারবেন না। পরে ১৪ মার্চ ইউরোপের দেশগুলির ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।

বাইডেন এখন আবার একই নির্দেশ জারি করতে পারেন। তা হলে বিদেশ থেকে মার্কিন নাগরিক ছাড়া অন্যদের অ্যামেরিকায় প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে।

বাইডেন-মাক্রোঁ কথা

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে কথা বললেন জো বাইডেন। মাক্রোঁকে ফোন করে বাইডেন বলেছেন, তিনি অ্যামেরিকার দীর্ঘদিনের বন্ধুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো ভালো করতে চান। ট্রাম্পের আমলে ফ্রান্স ও অ্যামেরিকার সম্পর্ক ভালো ছিল না। বাইডেন এখন আবার ফ্রান্স, ন্যাটো এবং ইইউ-র দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চাইছেন।

মাক্রোঁর মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুই নেতা জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনা রুখতে একযোগে কাজ করা নিয়ে কথা বলেছেন। তারা ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কথা বলেছেন।

বাইডেন এখন ইউরোপের দেশের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলছেন। ট্রাম্পের আমলে ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক খুবই খারাপ হয়। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এখন তা মেরামত করার চেষ্টা করছেন। তাই তিনি ইউরোপের একের পর এক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলছেন।

চার্চে বাইডেন

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম রোববার ওয়াশিংটনের হোলি ট্রিনিটি ক্যাথলিক চার্চে গেলেন বাইডেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ও তিনি এই চার্চে যেতেন। বাইডেনই হলেন অ্যামেরিকার দ্বিতীয় ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে ও দুই নাতি। ৩৫ মিনিট চার্চে কাটানোর পর, বাইডেন বলেন, 'খুবই ভালো লাগল।'

বাইডেন ছোটবেলা থেকেই ক্যাথলিক চার্চে যাচ্ছেন। তিনি ক্যাথলিক স্কুলে পড়েছেন। তাঁর প্রথম বিয়েও ক্যাথলিক চার্চে হয়েছিল।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)