1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু একশ ছাড়ালো

২০ এপ্রিল ২০২০

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৪৯২ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে৷ মারা গেছেন ১০ জন৷

https://p.dw.com/p/3b9sx
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/S. Ramany

এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে বাংলাদেশে ১০১ জনের মৃত্যু হলো৷ গত ২৪ ঘণ্টায় ২,৭৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ মোট নমুনা পরীক্ষা ২৬ হাজার ৬০৪টি৷ মোট শনাক্ত ২,৯৪৮ জন৷
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০ জন, মোট সুস্থ ৮৫ জন৷

সর্বশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচ জন ঢাকায়, চার জন নারায়ণগঞ্জ এবং একজন নরসিংদীতে৷

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য তুলে ধরেন৷

তিনি বলেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও এখন গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেশি হচ্ছে৷ নতুন আক্রান্তদের প্রায় ২০ শতাংশ গাজীপুরের বাসিন্দা৷ কিশোরগঞ্জে ১৩.৫ শতাংশ৷

এ পরিস্থিতিতে তিনি জনগণকে ঘরে থাকার, মাস্ক ব্যবহার করার এবং সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার অনুরোধ করেন৷

মিটফোর্ডের ২৩ চিকিৎসক আক্রান্ত

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য গোপন করে জরুরি চিকিৎসা নেওয়া একজন রোগীর মাধ্যমে তারা সংক্রমিত হয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা৷

এ নিয়ে মোট ৪২ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন৷

ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ উন নবীর বরাত দিয়ে বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ তথ্য জানায়৷

রোববার রাতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রশিদ তাঁর হাসপাতালে ৪২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর আক্রান্তের খবর দেন৷

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ১২ জন এবং শুক্রবার ১০ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে৷ তাদের মধ্যে সার্জারি ও গাইনি বিভাগের ১০ জন চিকিৎসক এবং আটজন নার্স আছেন৷ শনিবার আরো ৬৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করালে তাদের সবার ফল ‘নেগেটিভ' আসে৷

ডাক্তারদের করোনার ভয় এখনো কাটেনি

‘‘তবে রোববারের পরীক্ষায় আরো ১৩ জন চিকিৎসক এবং সাতজন নার্সের করোনা শনাক্ত হয়েছে৷ সব মিলিয়ে ৪২ জন আক্রান্ত, যাদের ২৩ জনই চিকিৎসক৷ বাকিদের মধ্যে নার্স ছাড়াও একজন আনসার আছেন৷’’

গত ১১ এপ্রিল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে একজন রোগী ভর্তি হন৷ তার জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়৷ ওই অস্ত্রোপচারে যারা যুক্ত ছিলেন, তারা সবাই আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান পরিচালক৷

বলেন, ‘‘মূলত ওই রোগীর মিথ্যা তথ্যের কারণেই ডাক্তাররা আক্রান্ত হয়েছেন৷ এখন সেটা একজনের কাছ থেকে অন্যজনে ছড়াচ্ছে৷ আর আমরাই বা কী করব, একজন রোগীর ইমার্জেন্সি অপারেশনের দরকার হলে তো অপারেশন করতে হবে, না হলে রাস্তায় মারা যাবে৷’’

যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আইসোলেশনে এবং যারা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের সবাইকে হোম কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি৷

এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে৷

এসএনএল/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য