করোনাকালে ঢাকায় থাকা দায়
করোনার কারণে কাজ না থাকায় গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন ঢাকার অনেক বাসিন্দা৷ এছাড়া আয় কমে যাওয়ায় অনেকে কম ভাড়ার বাসা খুঁজছেন৷
শাহ আলম
যে প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করতেন তা বর্তমানে বন্ধ৷ পাঁচ জনের পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন শাহ আলম৷ কাজ না থাকায় টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতে ফেরত যাচ্ছেন৷
মো: জসিম উদ্দিন
১৯৭২ সাল থেকে ঢাকায় একটি প্রিন্টিং প্রেসে চাকরি করেছেন জসিম উদ্দিন৷ অবসর নেন ২০০০ সালে৷ এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে ছিলেন৷ কিন্তু করোনার কারণে ছেলের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন তিনি৷
মামুন
পেশায় ভ্যানচালক৷ দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন৷ এখন কাজ না থাকায় বাসা ছাড়ার নোটিশ দিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন৷
মিরাজ
কেরানীগঞ্জের এক দর্জির দোকানে ৭,০০০ টাকা বেতনে কাজ করতেন৷ কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাকে নিয়ে পটুয়াখালী ফিরে যাচ্ছেন৷
মোরশেদুল হাসান
মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে ব্যবসা করতেন৷ করোনার কারণে ব্যবসা ভালো হচ্ছে না৷ তাই তিনিও পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন৷
মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন
১২ বছর ধরে বাসা পরিবর্তনে সহায়তার কাজ করছেন৷ পরিবার নিয়ে ঢাকায় বাস করছেন৷ তবে আর কতদিন থাকতে পারবেন তা নিয়ে চিন্তায় আছেন৷
সবুজ মিয়া
৩০ বছর ধরে ঢাকায় বাসা পরিবর্তনে সহায়তার কাজ করছেন৷ দৈনিক উপার্জন ৪০০ টাকা৷ কাজ না পেলে তিনিও ঢাকায় আর বেশিদিন থাকতে পারবেন না৷
ঢাকা ছেড়ছেন ৫০ হাজার
ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার ২২ জুন ডয়চে ভেলেকে জানান, সেই সময় পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ভাড়া দিতে না পেরে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন৷
বাধ্য হয়ে বাসা বদল
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপে দেখা গেছে, করোনার কারণে ফর্মাল সেক্টরে কাজ করা ১৩ শতাংশ মানুষ চাকরি হরিয়েছেন৷ অনেকের কাজ থাকলেও আয় কমে গেছে৷ তাই ব্যয় কমাতে অনেকে বাসা বদল করছেন৷