করোনা ভাইরাস কী, কীভাবে ছড়ায়?
বেশ কয়েকটি দেশ থেকেই করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর এসেছে৷ এ ভাইরাসটি আসলে কী এবং কীভাবে ছড়ায় দেখুন ছবিঘরে৷
কি ধরনের ভাইরাস এটি?
করোনা ভাইরাস এক ধরনের ভাইরাস যার কারণে শ্বাসকষ্টসহ, ঠান্ডাজনিত নানা ধরনের শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়৷ মিডল ইস্ট রেসপাইরেটরি সিনড্রম বা মার্স এবং সিভিয়ার একুউট রেসপাইরেটরি সিন্ড্রম বা সার্সও করোনা ভাইরাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত৷
কখন ধরা পড়ে
প্রথমে চীনে ২০০২ সালে বিড়াল থেকে মানবশরীরে এ ভাইরাস (সার্স) সংক্রমণের কথা জানা যায়৷ পরে ২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবের উটের শরীর থেকে মানবদেহে এ ধরনের ভাইরাসের (মার্স) সংক্রমণের বিষয়টিও ধরা পড়ে৷ বর্তমানে চীনে এটি নতুন রূপে দেখা দিয়েছে৷
লক্ষণ কী?
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সাধারণত যে লক্ষণগুলো ধরা পড়ে তা হলো শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দিকাশি৷ পাশাপাশি নিউমোনিয়া, কিডনিতে সমস্যাসহ নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়৷
মানুষ থেকে মানুষে কি সংক্রমিত হয়?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এ ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে৷
চিকিৎসা কী?
রোগটি একেবারেই নতুন হওয়ায় এখনও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি৷ তবে এ ভাইরাস সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট শারীরিক সমস্যায় সাধারণ চিকিৎসাই প্রদান করা হয়ে থাকে৷ সবচেয়ে জরুরি হলো রোগীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা৷
কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন?
এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কম আসা, হাত পরিস্কার রাখা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও নিরাপদ খাবারের উপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
কীভাবে নিরাপদ থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা?
রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা একটু বেশি ঝুঁকিতে থাকেন৷ আর তাই তাদেরকে যথাযথভাবে সংক্রমণনিরোধী বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে৷
সরকারের করণীয় কি?
এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন দেশের সরকারকে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলছে৷ এ ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর সন্ধান পাওয়া মাত্র তাদেরকে জানাতে বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি৷