করোনা ভাইরাস: এয়ারলাইন বাঁচাতে রাষ্ট্রীয় সহায়তা
করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিশ্বজুড়ে বিমান পরিবহন খাত মারাত্মক বিপর্যয়ে৷ জার্মানির লুফটহান্সার জন্য লাইফলাইন হতে পারে সরকারি সহায়তা৷ যদিও প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য এয়ারলাইন এর সমালোচনা করছে৷
সহায়তা আছে, হস্তক্ষেপ নেই!
জার্মানির প্রধান বিমান সংস্থা লুফটহান্সাকে ঘুরে দাঁড়াতে ৯০০ কোটি ইউরো অর্থ সহায়তা দেবে সরকার৷ হাজারো মানুষের চাকরি বাঁচাতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে৷ তবে সহায়তা দিলেও কোম্পানির ভবিষ্যত পরিচালনায় সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন অর্থনীতি বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী পিটার আলটমায়ার৷
স্মার্টউইংস স্মার্ট চুক্তি চায়
চেক প্রজাতন্ত্র সরকার তাদের এয়ারলাইন স্মার্টউইংসের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে চায়৷ এমনকি সরকার কোম্পানিটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে চায় বলে শোনা যাচ্ছে৷ তবে স্মার্টউইংসের নির্বাহীরা জানান, কেউ এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রস্তাব নিয়ে তাদের কাছে আসেনি৷
অস্তিত্ব রক্ষায় আরো সহায়তা চাই টিএপি-র
পর্তুগালের ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার টিএপি প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের অস্তিত্বের সুরক্ষায় সরকার থেকে আরো ঋণ চেয়েছে৷ কর্মীরাও আরো বেশি সরকারি নিয়ন্ত্রণ চান৷ প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তোনিও কোস্তাও এয়ারলাইনটি জাতীয়করণের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ টিএপি-র ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক সরকার৷ বাকি ৪৫ শতাংশের মালিক ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত অ্যামেরিকান উদ্যোক্তা ডেভিড নিলম্যান এবং ৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক কর্মচারীরা৷
সহায়তা ছাড়া অস্তিত্ব রক্ষা, প্রশ্নই আসে না
নরওয়ের কম খরচের এয়ারলাইন নরওয়েজিয়ান সরাসরি সরকারি সহায়তা না পেলেও সরকার থেকে কিছুটা ঘুরিয়ে অর্থ সহায়তা পাচ্ছে৷ যার মাধ্যমে কোম্পানিটি নিজেদের পুনর্গঠনের কষ্টকর লড়াইটা শেষে করে এনেছে৷
প্রথমবারের মত ক্ষতি দেখল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স লোকসান গুণেছে৷ কোম্পানিটির ৪৮ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম তারা ব্যাবসায় ক্ষতির মুখ দেখলো৷ এ মাসের শুরুতে তারা বার্ষিক লোকসান ঘোষণা করে৷ কোম্পানিটির বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক দেশটির সরকার৷
প্রতিযোগিতায় সামঞ্জস্যহীনতা
এমিরেটস, ইতিহাদ ও কাতার এয়ারওয়েজের মত সরকারি মালিকানাধীন এয়ারলাইনগুলো প্রায়ই বিশ্বের অন্যা্ন্য প্রান্তে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী বিমান কোম্পানিগুলোর ভ্রু কপালে তোলার কাজ করে৷ তাদের অভিযোগ, এই এয়ারলাইনগুলো অনেক সময় অন্যায্যভাবে বাজার দখলের লড়াইয়ে নামে এবং যেকোনো উপায়ে প্রতিন্দ্বন্দ্বীদের মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ মহামারির আগেও এই তিনটি কোম্পানি সামঞ্জস্যহীন ভাবে বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷