করোনা কেড়েছে তার অলিম্পিক স্বপ্ন
স্বপ্ন পূরণের জন্য ভালো চাকরিটা ছেড়েছিলেন৷ সপ্তাহে ছয়দিন অনুশীলন করেছেন টানা এক বছর৷ তবু টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেয়া হচ্ছে না আরিসার৷ দেখুন ছবিঘরে...
জাপান-সেরা আরিসা
২০১৯ সালে জাপানের জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের মিডল ওয়েট বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন আরিসা সুবাতা৷ দেশসেরা হয়ে ভেবেছিলেন, নিজেকে আরো তৈরি করে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেবেন৷
করোনাকে জয়ের মরিয়া চেষ্টা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিক হতে পারেনি৷ কিন্তু আসর এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় আরিসার কোনো সমস্যা হবার কথা নয়৷ দেশসেরা তিনি, সুতরাং ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় আসরে নিজের ভালো সম্ভাবনাই দেখছিলেন৷ সম্ভাবনা আরো উজ্জল করতে অনুশীলনে জোর দিয়েছিলেন প্রচণ্ড৷ তাতে করোনা তো কাছে আসেইনি, পারফর্ম্যান্সেও দেখা যাচ্ছিল উন্নতির ধারা৷
স্বপ্ন ধরতে চাকরি ছাড়া
২৭ বছর বয়সি আরিসা পেশায় নার্স৷ টোকিওর অন্যতম সেরা হাসপাতালে চাকরি করতেন৷ শুধু রোববার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয়দিন সবচেয়ে বেশি প্রশিক্ষণের সময় বের করতে সেই চাকরিটা দিলেন ছেড়ে৷ ছোট একটা ক্লিনিকে চাকরি নিয়ে শতভাগ একাগ্রতা নিয়েই শুরু করলেন অলিম্পিকের পথে স্বপ্নযাত্রা৷
স্বপ্নের মৃত্যু
আগামী জুনে বাছাইপর্ব হবে, সেখানে উতরে গেলেই নিজের দেশের আয়োজনে অংশ নেয়া নিশ্চিত৷ কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব মনে হচ্ছিল না মোটেই৷ কিন্তু হঠাৎ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কাউন্সিল (আইওসি)-র ঘোষণা- যথেষ্ট সময় না থাকায় কোনো বাছাইপর্ব হবে না, সর্বশেষ র্যাঙ্কিং অনুযায়ী যারা এগিয়ে, এবার শুধু তারাই পাবেন অলিম্পিক মাতানোর সুযোগ৷ আরিসার অলিম্পিক-স্বপ্নের সমাধি হলো সেখানেই৷
স্বপ্ন দেখা কঠিন
২০১৯ সালে দেশসেরা হলেও ২০১৭ সালের র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকায় টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেয়া হবে না৷ এমন দুর্ভাগ্য মানতে বড় কষ্ট হচ্ছে আরিসার৷ তবে বাস্তবতা মেনেই হতাশার কথা শোনালেন তিনি, ‘‘টানা এক বছর কঠোর অনুশীলন করেছি৷ তারপরও অংশ নিতে পারবো না জেনে আমি ভীষণ হতাশ৷’’ আরিসা জানেন, তিন বছর পর বয়স ত্রিশ ছাড়াবে, তখন প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নেয়া তার জন্য প্রায় অসম্ভব৷