1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরের কপ্টিক খ্রিষ্টানরা আইএস’এর বলি

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

প্রথমে সিরিয়া, তারপর ইরাক, এবার লিবিয়া – রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট এ সব দেশে নিজেদের অস্তিত্ব আরও জোরালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ মিশরে কপ্টিক খ্রিষ্টানরাও তার বলি হচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/1EcM1
Libyen Islamisten Demo in Bengasi 31.10.2014
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Hannon

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ প্রশাসন অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে৷ দেশের একটা বড় অংশ জঙ্গি গোষ্টী ইসলামিক স্টেট-এর দখলে৷ ইরাকের প্রশাসন গোটা দেশের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারেনি৷ মিশরের সামরিক শাসনযন্ত্রও সিনাই উপদ্বীপে আইএস-এর তৎপরতা প্রতিরোধ করতে পারছে না৷ মুয়ম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হবার পরে লিবিয়া কার্যত গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়েছে৷ সেখানে কোনো স্থিতিশীল প্রশাসন নেই, নেই গোটা দেশের উপর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ৷

এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, গোটা অঞ্চল জুড়ে স্থিতিশীলতার যে অভাব দেখা যাচ্ছে, তা কি এড়ানো যেত না? লিবিয়ায় কপ্টিক খ্রিষ্টানদের পাশবিক হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে ব্যক্তিবিশেষ এবং ব্লগার-রা এই সব প্রশ্ন তুলছেন৷ ব্রিটেনের প্রাক্তন সামরিক অফিসার, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের ডিটেকটিভ, সন্ত্রাসবাদ দমন বিশেষজ্ঞ চার্লস শুব্রিজ এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘‘ক্যামেরন, সারকোজি, ওবামা ও তাঁদের নিউ ফ্রি লিবিয়া কোথায় গেল?‘‘

মিশরের কপ্টিক খ্রিষ্টানদের সার্বিক পরিস্থিতি এবং নিজেদের দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে সাম্প্রতিক কালে তাদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, সে বিষয়ের প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মিশরের কয়েকজন ব্লগার৷ ‘দ্য বিগ ফারাও' মন্তব্য করেছেন যে, মিশরের খ্রিষ্টানদের বছরের পর বছর ধরে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে৷ মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসি পোপ-কে টেলিফোন করে লিবিয়ায় পণবন্দি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেন তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নেতা৷''

Ägypten Reaktion auf Ermordung koptischer Christen durch IS
কপ্টিক খ্রিষ্টানদের হত্যাকাণ্ডের পর মিশরের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকছবি: imago/Xinhua

ওয়াএল এসকান্দার নামের আরেক ব্লগার লিখেছেন, ‘‘বিশ্বাস করা কঠিন, কিন্তু তিন বছর আগে মিশরের সামরিক বাহিনী মিশরের মধ্যেই এত সংখ্যক কপ্টিক খ্রিষ্টানকে খতম করেছে, যেমনটা লিবিয়ায় ‘দাইশ' (ইসলামিক স্টেট)-ও পারেনি৷ অথচ কিছুই হয়নি৷''

রোজগারের তাগিদে নিজেদের দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে বাধ্য হয় কপ্টিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ৷ অনেকেই অত্যন্ত গরিব৷ ব্লগার মিনা ফায়েক মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আইসিস যে ২১ জন কপ্টিক খ্রিষ্টানকে হত্যা করেছে, তাদের সবাই আপার ইজিপ্ট-এর একটি দরিদ্র গ্রামের মানুষ ছিলেন৷ চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতেই তাঁরা ঝুঁকি সত্ত্বেও লিবিয়া যেতে বাধ্য হয়েছিলেন৷''

ডাক্তার ও ব্লগার নেরভানা মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘২১ জন নিরপরাধ মানুষ লিবিয়ায় গিয়েছিলেন রোজগারের তাগিদে এবং নিজেদের পরিবারের অন্নসংস্থানের লক্ষ্যে – যুদ্ধ করতে বা কাউকে খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে নয়৷''

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য