1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কন্যাশিশুর খতনার দায়ে বাবা ও ডাক্তারদের বিচার

৮ জুন ২০২০

মিশরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন কন্যাশিশুর যৌনাঙ্গচ্ছেদের অভিযোগে শিশুদের বাবা ও এক ডাক্তারের বিচার শুরু হচ্ছে৷ দেশটির এক মানবাধিকার আইনজীবী জানিয়েছেন এ তথ্য৷

https://p.dw.com/p/3dRFZ
দেশটির রাষ্ট্রীয় কৌসুলির দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে
দেশটির রাষ্ট্রীয় কৌসুলির দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছেছবি: picture alliance/dpa/EPA/UNICEF/HOLT

উইমেনস সেন্টার ফর গাইডেন্স অ্যান্ড লিগ্যাল অ্যাওয়ারনেস এর নির্বাহী পরিচালক রেদা আল-দানবোকি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গত সপ্তাহে সোহাগ প্রদেশের জুহায়নাহ জেলায় অস্ত্রোপচারের এই ঘটনা ঘটে৷ জেলাটি রাজধানী কায়রো থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷

তিনি বলেন, অভিযুক্ত বাবা করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার কথা বলে তার ৮, ৯ ও ১১ বছর বয়সী তিন মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান৷ পরে তাদেরকে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে অস্ত্রোপচার করা হয়৷

পরবর্তীতে বাবার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া মাকে মেয়েরা ঘটনাটি জানালে মা পুলিশে অভিযোগ করেন৷ এরপরই সেই ডাক্তার ও মেয়েদের বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

দেশটির রাষ্ট্রীয় কৌসুলির দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে৷

আল-দানবোকি জানিয়েছেন, এই অভিযোগে ডাক্তারের সাত বছর এবং বাবার আট বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷

গত শতাব্দীর ৯০ এর দশক থেকেই নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে মিশর৷ ২০০৮ সালে মিশরের আদালতে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ দণ্ডনীয় ঘোষণা করে আইন পাস হয়৷ তবে আইনের বিরোধীতাও ছিল প্রবল৷ ২০১৫ সালে সরকারের এক জরিপে দেখা যায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির ৮৭ শতাংশ নারীরই যৌনাঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে৷

২০১৬ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়৷ পুরনো আইনে ‘সাধারণ অপরাধ' হিসেবে দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও পরবর্তীতে ‘গুরুতর অপরাধ' হিসেব করে সাজা সাত থেকে আট বছর করা হয়৷

কিন্তু তারপরও একেবারে বন্ধ করা যায়নি এই প্রথা৷ আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে প্রায়শই যৌনাঙ্গচ্ছেদ করতে গিয়ে রক্তপাতে নারীর মৃত্যুর খবর শিরোনাম হয়৷ জানুয়ারিতে আসিয়ুত প্রদেশে অস্ত্রোপচারের সময় ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর খবরেও তোলপাড় হয় দেশটিতে৷

এডিকে/কেএম (এপি)