1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কড়াকড়ি কমিয়ে আরও দুই সপ্তাহ লকডাউন

১ মে ২০২০

লকডাউনের বর্তমান মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ মে। তার দুই দিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিলো, দেশ জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হলো। ফলে ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে।

https://p.dw.com/p/3bf4Q
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo

তবে মেয়াদ বাড়লেও দেশজুড়ে লকডাউনের কড়াকড়িআগের মতো থাকবে না। দেশের জেলাগুলিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। লাল বা যেখানে করোনার প্রকোপ বেশি। সবুজ বা যেখানে গত ২১ দিনে করোনায় কেউ আক্রান্ত হননি। এর বাইরের জেলাগুলো হলো কমলা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে রাজ্য সরকারগুলি ঠিক করবে কোন জেলা লাল, কোনটা কমলা, কোনটা সবুজ। এর মধ্যে সবুজ জেলায় কড়াকড়ি খুবই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাল জেলায় লকডাউন আগের মতোই থাকবে। কমলা জেলাতেও প্রচুর ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে বিমান চলবে না। রেলও চলবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ অনুমতিতে পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক, তীর্থযাত্রীদের নিয়ে কিছু বিশেষ ট্রেন চলবে। মেট্রো বন্ধ থাকবে। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বাস যাতায়াত করবে না। একমাত্র চিকিৎসার কারণে যাওয়া যাবে। সিনেমা হল, জিম, ধর্মীয় স্থান, রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, আমেদাবাদের মতো শহরগুলির অধিকাংশ এলাকাই লাল তালিকাভুক্ত। ফলে সেখানে লকডাউনের কড়াকড়ি থাকবে। 


কোথায় কেমন ছাড়

সবুজ জেলা বা অঞ্চলে বাস চলবে, তবে মোট যত যাত্রী বাসে ধরে তার অর্ধেক যাত্রী নেওয়া যাবে।

বাস ডিপোতেও অর্ধেক বাস ও কর্মী থাকবেন।

গাড়ি বা ট্যাক্সি চলতে পারবে, তবে চালক ছাড়া দুই জন সেখানে চড়তে পারবেন।

জেলার মধ্যে বাস ও গাড়ি চলতে পারবে।

গ্রামের দিকে নির্মাণ কাজ পুরোপুরি চলবে।

সব কারখানা চালু রাখা যাবে।

ই কমার্স সংস্থাগুলি নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন জিনিসও সরবরাহ করতে পারবে।

কমলা জেলা বা এলাকাতেও জেলার মধ্যে বা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বাস চলাচল করতে পারবে। গাড়িও চলবে।

গ্রামের দিকে নির্মাণ কাজ চলবে।

কারখানা খোলা যাবে। 

লাল এলাকায় আগের মতোই করোনা পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হবে।

জরুরি প্রয়োজন ও অনুমতি  ছাড়া গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না।

অনুমতি থাকলে গাড়িতে চালক বাদে একজন যেতে পারবেন।

বাইরে থেকে শ্রমিক এনে কোনও নির্মাণকাজ করা যাবে না।

এই নির্দেশিকা থেকে বোঝা যাচ্ছে, লকডাউন চললেও সবুজ ও কমলা এলাকা এবং বিশেষ করে গ্রামের দিক অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে। সবুজ এলাকায় স্কুল, কলেজ ও জমায়েত বাদ দিলে বাকি অধিকাংশ কাজ শুরু হয়ে যাবে। 

জিএইচ/এসজি(স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি)