1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কঠিনতম বছর, বললেন ম্যার্কেল

৩১ ডিসেম্বর ২০২০

সম্ভবত চ্যান্সেলার হিসাবে তাঁর শেষ নিউ ইয়ার্স বক্তৃতা দিলেন অ্যাঙ্গেলা ম্য়ার্কেল। জানালেন, ২০২০ ছিল তাঁর চ্যান্সেলার জীবনের কঠিনতম বছর।

https://p.dw.com/p/3nOgz
জার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: Markus Schreiber/REUTERS

নতুন বছরের শুভেচ্ছা-ভাষণ দিতে গিয়ে কোনো রাখঢাক না করেই সত্যি কথা সহজভাবে বলে দিলেন জার্মান চ্যান্সেলার ম্যার্কেল। তিনি বললেন, ''আমি অত্যুক্তি করছি না। যে বছর শেষ হতে চলেছে, তার মতো কঠিন বছর গত ১৫ বছরে অন্তত আসেনি। করোনা অতিমারি রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনীতির সামনে শতাব্দীর সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।'' ম্যার্কেল বলেছেন, ''এটা ঐতিহাসিক সংকট। তার মোকাবিলা করার জন্য আপনারা সকলে আমার উপর বিশ্বাস রেখেছেন, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছেন। তাই সকলকে আমি হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।''

ম্যার্কেল ঠিকই বলেছেন। করোনা ভাইরাস পুরো বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। জার্মানিতে ১৭ লাখ মানুষ আক্রান্তহয়েছেন। ৩২ হাজার মারা গেছেন। করোনা থামেনি। বরং আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জার্মানি এই প্রথম একদিনে এক হাজার মানুষের মৃত্যু দেখেছে।

চক্রান্তের অভিযোগ খারিজ

তাঁর ভাষণে ম্যার্কেল চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাঁরা সামিল হয়েছেন, সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।  তিনি বলেছেন, ''অসংখ্য মানুষ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করেছেন। সুপারমার্কেটে, মাল পৌঁছে দেওয়ার কাজে, বাস ও ট্রেন চালিয়ে, থানায়, স্কুল, কিন্ডারগার্টেনে, চার্চ সহ বিভিন্ন জায়গায় যাঁরা কাজ করেছেন এবং করছেন।''

তবে ম্যার্কেল করোনা নিয়ে চক্রান্তের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, চক্রান্তের তত্ত্ব যে অসত্য তাই নয়, এটা ভয়ঙ্করও। যাঁরা শোকপালন করছেন, তাঁদের কাছে এই তত্ত্ব খুবই নিষ্ঠুর।

ভ্যাকসিনে আস্থা

ইইউ-র দেশগুলিতে গত ২৭ ডিসেম্বর ভ্যাকসিন চালু হয়েছে। অনেক দেশেই জানুয়ারিতে তা চালু হয়ে যাবে। ম্যার্কেল মনে করছেন, ভ্যাকসিন আশা দিচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ''কয়েকদিন হলো আমরা আশাবাদী হয়েছি, যখন আমরা খুবই বয়স্ক, চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের টিকা দেয়া শুরু করতে পেরেছি।'' ম্যার্কেল জানিয়েছেন, যখন তাঁর পালা আসবে, তখনই তিনি ভ্যাকসিন নেবেন। অ্যামেরিকা বা অন্য দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের মতো আগেভাগে ভ্যাকসিন নেবেন না।

চ্যান্সেলার জানিয়েছেন, জার্মানির বায়োনটেক এই ভ্যাকসিন বের করেছে। এই সংস্থার মালিকরা জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থায় ৬০টি দেশের মানুষ কাজ করেন। ইউরোপ ও অন্য দেশের মানুষের সহযোগিতা ও চেষ্টায় একটা ভ্যাকসিন তৈরি হলো, সেটা বহুত্ববাদের আদর্শ উদাহরণ।

ম্যার্কেলের শেষ বছর

বিদায়ী বছর মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। নতুন বছর আশা নিয়ে আসবে বলে ম্যার্কেল মনে করেন। আর এটাই হবে জার্মানির চ্যান্সেলার হিসাবে সম্ভবত তাঁর শেষ বছর। কারণ, তিনি আর ভোটে দাঁড়াবেন না বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন। ম্যার্কেল আবার জানিয়েছেন, ''আমি একটা ব্যক্তিগত কথা বলতে চাই। আর নয় মাস পরে জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচন। আমি আর লড়ব না। তাই, খুব সম্ভবত, জার্মান চ্যান্সেলার হিসাবে এটাই আমার শেষ নিউ ইয়ার্স স্পিচ। তবে আমি বিশ্বাস করি, নতুন বছর সুখের হবে।''

এলিয়ট ডগলাস/জিএইচ