1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলোচনায় ম্যার্কেল-পুটিন

১৯ আগস্ট ২০১৮

চার বছর পর জার্মানি সফরে এলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ শনিবার দেখা হলো আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে৷ কী কী ছিল আলোচনার টেবিলে?

https://p.dw.com/p/33O16
ছবি: Reuters/A. Schmidt

শনিবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন যে, বার্লিনের অদূরে মেসেবার্গ প্যালেসে এই বৈঠক থেকে খুব বিশেষ কোনো ফল আশা করেন না৷ তবে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বৈশ্বিক নানা বিষয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি আলোচনায় থাকতে চান তিনি৷
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে মধ্য ইউরোপের দেশটিতে এলেন পুটিন৷ এর আগে গেল মে মাসে রাশিয়ার সোচিতে জার্মান চ্যান্সেলরের সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিলেন দুই নেতা৷
মূলত ইউরোপে শরণার্থী সংকট নিরসনে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের চলমান নানা উদ্যোগের মাঝে পুটিনের এই সফরটিও গুরুত্বপূর্ণ৷ যেমন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে রাশিয়ার ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, সেখানে ক্ষমতাসীন আসাদ সরকারকে সহযোগিতা দিচ্ছেন পুটিন৷
ম্যার্কেল পুটিনকে বলেন যে, সিরিয়ায় প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠান দরকার৷
ইউক্রেন নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে৷ ম্যার্কেল বলেন যে, ইউক্রেনে শান্তি বজায় রাখতে জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের একটি দলের অবস্থানের বিষয়ে তাঁর সায় রয়েছে৷
তবে পুটিন মনে করেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগিতা দেয় রাশিয়া৷
নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইনের বিষয়ে এখনো দুই নেতাই আশাবাদী৷ ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে প্রথম গ্যাস পাইপলাইনটিও সচল রাখার পক্ষে দু'পক্ষই এখনো একমত৷ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় পাইপলাইনটি নিয়ে ঘোর আপত্তি আছে৷ তাদের আশঙ্কা, এর ফলে ইউরোপ অতিমাত্রায় রাশিয়া নির্ভর হয়ে যাবে৷ তাই ম্যার্কেল ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে আসা প্রথম পাইপলাইনটি সচল রেখেই দ্বিতীয় পাইপলাইনটির ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন৷
পুটিন বলেন, জার্মানি রাশিয়ার অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার৷ জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে ২২ ভাগ৷ রাশিয়ায় এখন জার্মান বিনিয়োগ প্রায় ১ হাজার ৮শ' কোটি ইউরো৷

জেডএ/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য