1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কঠিন পরিবেশেও মানুষ ঠিক পুষ্টি সংগ্রহ করে

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

তুষারঢাকা মেরু অঞ্চল অথবা মরুভূমির কঠিন পরিবেশে মানুষ কীভাবে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে? সেখানকার আদিবাসীদের খাদ্যাভ্যাস পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা নানা মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷

https://p.dw.com/p/40zsX
LOK2018001C | Arctic: New Frontier
ছবি: Kadir van Lohuizen/NOOR for Carmignac Fondation

সুমেরুর মতো চরম পরিবেশের কাছাকাছি ভিটামিনের কোনো উৎস পাওয়া কঠিন৷ তাহলে  মানুষের পক্ষে সেখানে দীর্ঘ সময় ধরে বাঁচা কীভাবে সম্ভব?

আধুনিক মেরু গবেষকদের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর খুব স্পষ্ট৷ ভিটামিন সঙ্গে করেই আনতে হবে৷ বিমানযোগে রসদ আনাতে হবে৷ অ্যান্টার্কটিকায় নয় মাস ধরে থাকার সময় আলফ্রেড ভেগেনার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এভাবেই নিজেদের চাহিদা পূরণ করেন৷ প্রতিদিন তারা তাজা ফল ও শকসবজি খেতে পারেন৷

ক্যানাডার এথনোলজিস্ট ভিলহিয়ালমুর স্টেফানসসন একশো বছর আগে ভিন্ন এক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন৷ ইনুইট-দের কাছে যেতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার সময় তিনি তাদের মতোই শুধু মাংস খেয়ে ছিলেন৷ তার স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভালো ছিল৷ ইনুইটদের খাদ্যাভ্যাস বহুকাল ধরে বিশেষজ্ঞদের কাছে এক রহস্য ছিল৷ শুধু মাংস খেয়ে বেঁচে থাকলে তাদের কেন কোনো অভাবজনিত রোগ হয় না? ফলমূল বা শাকসবজি ছাড়া তারা কোথা থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি পান?

এই প্রশ্নের উত্তর ছিল খুবই সহজ৷ জানা গেল, সিল বা অন্যান্য মাছ, তিমি, ক্যারিবাসের মাংসের মধ্যেও যথেষ্ট ভিটামিন সি রয়েছে৷ ইনুইটরা মাংস সেদ্ধ বা রান্না করে না বলে সেই ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায় না৷ তারা একেবারে কাঁচা মাংস খায়৷ হিমায়িত করার আগে সেই মাংসের স্বাদও নাকি সেরা৷

অন্যদিকে আফ্রিকার মরুভূমির আদি বাসিন্দারা মাংস খায় না বললেই চলে৷ মালবাহী প্রাণী ও সঙ্গী  হিসেবে উট এতই গুরুত্বপূর্ণ, যে সেই প্রাণীর মাংস খাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷ তাহলে বেদুইন ও তুয়ারেগরা ভিটামিন পায় কোথা থেকে?

এই প্রশ্নের প্রাথমিক উত্তর সহজ মনে হবে৷ মরুদ্যানে থাকার সময় তারা যথেষ্ট ফলমূল ও শাকসবজি খেতে পারে৷ যাযাবররা সেখানে দীর্ঘ যাত্রার জন্য খাদ্য প্রস্তুত করে৷ ঐতিহ্য অনুযায়ী বাজরা দিয়ে পরিজ তৈরির সময় প্রায়ই খেজুর দিয়ে মাখা হয়৷ তবে খেজুরের মধ্যে কোনো ভিটামিন সি নেই৷

অর্থাৎ যাযাবররা তাদের ক্যারাভ্যান নিয়ে মরুভূমির মধ্যে পাড়ি দিলে যথেষ্ট কার্বোহাইড্রেটের জোগান থাকে বটে, কিন্তু ভিটামিন সি থাকে না৷ শরীরের মধ্যে জমা ভিটামিস সি-র ভরসায় জীবন কাটাতে হয়৷ তারা বড়জোর দুই সপ্তাহ ধরে যাত্রা করে বলে সেটা সম্ভব হয়৷ পরের মরুদ্যানে পৌঁছে ঘাটতি পূরণ করতে হয়৷ শক্তিশালী ও শুধুমাত্র নর উট দীর্ঘ ও কঠিন যাত্রার সঙ্গী হয়৷

অন্যদিকে কেনিয়ায় উটের পালের রাখাল মিশ্র প্রজাতির পশু পালন করে৷ তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে পশুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে পারে কারণ তাদের সঙ্গে মাদি উটও থাকে৷ উটের দুধ খেয়ে রাখালরা দীর্ঘ সময় থেকে সুস্থ সবল থাকে৷ উটের দুধে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে৷

বহু সহস্রাব্দ ধরে মানুষ এমন সব কঠিন পরিবেশেও জীবনধারণ করে আসছে৷ দৈনন্দিন জীবন কঠিন হলেও ভিটামিনের অভাব সমস্যা হয়ে ওঠে নি৷

মাইকে শেফার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য