ওয়াকা ওয়াকা - শাকিরা
৩ জুন ২০১০২০১০ সালের বিশ্বকাপেও শাকিরা আসছেন ‘ওয়াকা ওয়াকা - দিস টাইম ফর আফ্রিকা' গানটি নিয়ে৷ তবে এবার নন্দিত হওয়ার পাশাপাশি সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই কলাম্বিয়ান গায়িকা৷
বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ মানুষরা হতাশা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রেডিও স্টেশনে ফোন করে৷ তাদের মূল বক্তব্য, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ - বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে গান গাওয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার কোন গায়ক বা গায়িকা কি পাওয়া যায়নি ?' তাদের প্রশ্ন: ‘কেন দক্ষিণ আমেরিকার একজন গায়িকাকে এই গানটি গাইতে হবে?' বেশ কিছু রেডিও স্টেশনে শ্রোতারা ফোন করে বলেছেন, ‘গানটি বিরক্তিকর, অসহ্য৷'
তবে গায়িকা শাকিরা কিন্তু এসব নিয়ে চিন্তিত নন৷ বিশ্বকাপের জন্য গান গাইতে পেরে তিনি খুবই আনন্দিত৷ তিনি আনন্দের সঙ্গে জানান, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য আমাকে বেছে নেওয়া হয়েছে – আমি খুবই গর্বিত৷ ২০১০ সালের বিশ্বকাপের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত৷ এ এক বিরল সম্মান৷ কারণ, প্রতিটি বিশ্বকাপই মানুষ, দেশ, সংস্কৃতিকে - এক সঙ্গে নিয়ে আসে৷ ‘‘ওয়াকা ওয়াকা'' গানটি মূলতঃ এসব নিয়েই৷'
দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় টক রেডিও স্টেশন-এর হোস্ট জেনি ক্রিস উইলিয়াম্স৷ তিনি জানান, অনেকেই ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, করে যাচ্ছেন৷ জেনি আরো বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষরা সত্যিই নিজেদের নিয়েই মশগুল৷ তারা তাদের নিজস্ব গান শুনতে চায়৷ যে কারণেই তাদের প্রশ্ন, ‘‘দেশে এত জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকা থাকতে কেন বিদেশি একজনকে দিয়ে গানটি গাওয়ানো হচ্ছে?'' আমি নিজেও এই যুক্তিকে সমর্থন করি৷ অনেকেই যুক্তি দেখাচ্ছে – ‘‘বিশ্বকাপ আমাদের মহাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আমাদের দেশে - গানও আমরা গাইতে চই৷'' '
শাকিরার ওয়াকা ওয়াকা গানের প্রতিবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ রাস্তায় মিছিল পর্যন্ত করেছে৷
৭ই মে থেকে ‘ওয়াকা ওয়াকা - দিস টাইম ফর আফ্রিকা' – সিডিতে পাওয়া যাচ্ছে৷ স্প্যানিশ ভাষাতেও গানটি গাওয়া হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, থ্রি ডি ভার্শনেও ‘ওয়াকা ওয়াকা'র ভিডিও বাজারে ছাড়া হবে শীঘ্র৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী