1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই: বাইডেন

৩০ নভেম্বর ২০২১

ওমিক্রন নিয়ে চিন্তার কারণ আছে, কিন্তু আতঙ্কের কোনো কারণ নেই বলে জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

https://p.dw.com/p/43e8o
ওমিক্রন ঠেকাতে মাস্ক পরতে, ভ্যাকসিন নিতে বললেন বাইডেন। ছবি: Evan Vucci/AP Photo/picture alliance

বাইডেন বলেছেন, ''অ্যামেরিকার মানুষ যেন বুস্টার ডোজ নেন এবং মাস্ক পরে বাইরে বের হন।'' হোয়াইট হাউসে ভাষণ দিতে গিয়ে বাইডেন জানিয়েছেন, ''ওমিক্রন ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।''

অ্যামেরিকার রোগ প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি সোমবার বলেছেন, ''ওমিক্রন ভাইরাস কতটা ছড়াবে, এই ভাইরাস কতটা প্রবল হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।''

তবে বাইডেনের মত হলো, ''আমরা এই নতুন বিপদের মুখোমুখি হব ও তার মোকাবিলা করব। অতীতে যেমন নতুন বিপদের মোকাবিলা করেছি, সেভাবেই ওমিক্রনের মোকাবিলা করা হবে।'' তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ''মানুষ যদি ভ্যাকসিন নেন ও মাস্ক পরেন, তাহলে লকডাউন করার কোনো দরকার হবে না।''

কিন্তু প্রেসিডেন্ট এই কথা বললেও আর্থিক পরামর্শদাতা পাওয়েল বলেছেন, ''অ্যামেরিকায় সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। তার উপর ওমিক্রন ভাইরাস যদি ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তার প্রভাব আর্থিক ক্ষেত্রে পড়বে। বেকার বাড়বে, জিনিসের দাম বাড়বে।''

গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার পর অ্যামেরিকা তাদের ওপর ট্র্যাভেল ব্যান বা যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বাইডেনের আবেদন

পাঁচ বছরের বেশি বয়সি সবাইকে ভ্যাকসিন নেয়ার অনুরোধ করেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, খোলা এলাকায় তো বটেই, ঘরের বাইরে ক্লাব, রেস্তোরাঁর মতো বন্ধ জায়গায় গেলেও মাস্ক পরা উচিত।

প্রেসিডেন্টের মতে, ''আবার লকডাউনের অবস্থায় ফিরে যাওয়া উচিত হবে না।'' তিনি বরং এই নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস নিয়ে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে চান।

বাইডেন জানিয়েছেন, যেখানে মানুষ ভ্যাকসিন কম নিয়েছেন, সেখানে মানুষ বেশি করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সকলের ভ্যাকসিন নেয়া জরুরি। তিনি মনে করেন, শুধু অ্যামেরিকা নয়. গোটা বিশ্বের মানুষকেই ভ্যাকসিন নিতে হবে। যতক্ষণ তা না হচ্ছে, ততক্ষণ চুপ করে বসে থাকার প্রশ্নই নেই।

অ্যামেরিকা ইতিমধ্যে ২৭ কোটি ৫০ লাখ ভ্যাকসিন গরিব দেশগুলির জন্য দিয়েছে। তারা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরো ১১০ কোটি ভ্যাকসিন দেবে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)