এসব ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে সোনা আছে
রূপা ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এর রং কালো হয়ে যায়, ক্ষয়ে যায়৷ সেই তুলনায় সোনার রঙ নষ্ট হয় না এবং সোনা টেকসই৷ এ কারণে বৈদ্যুতিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতে স্বর্ণের ব্যবহার হয়৷
মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেট
প্রত্যেকটি মোবাইল ফোনের সার্কিটবোর্ডে স্বর্ণ থাকে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩৫ থেকে ৪০টি ফোন রিসাইকেল করলে এক গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়৷
কম্পিউটার
কম্পিউটারের সিপিইউ-তে স্বর্ণ থাকে, সার্কিট বোর্ড, ট্রান্সমিটারে থাকে৷ এছাড়া প্রসেসিং চিপেও স্বর্ণ ব্যবহৃত হয়৷
রিমোট কন্ট্রোল
ছোট বা বড় সব ধরনের বৈদ্যুতিক রিমোটকন্ট্রোলে স্বর্ণের ব্যবহার হয়৷ রিমোটের ভেতরে যে সার্কিট বোর্ড থাকে সেখানে স্বর্ণের ব্যবহার হয়৷
পুরানো স্টেরিও সিস্টেম
৮০’র দশকে স্টেরিও সিস্টেমে বেশ কিছুটা স্বর্ণ ব্যবহৃত হতো৷ কিন্তু বর্তমানে স্টেরিও সিস্টেমে কম স্বর্ণ ব্যবহৃত হয়৷
ভিসিআর, সিডি এবং ডিভিডি প্লেয়ার
রিসাইক্লিং বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ, তারা এসব যন্ত্রপাতির সার্কিট বোর্ড থেকেও স্বর্ণ বের করতে পারেন৷ যদিও এসব থেকে বের করা সোনা খুবই পাতলা এবং কম পরিমাণে থাকে৷
নেভিগেশন
পথ চলতে কম ভোল্টেজে দ্রুত সিগনাল পাওয়া খুব সহজ নয়৷ কিন্তু সার্কিট বোর্ডে স্বর্ণের ব্যবহারের কারণে পথের খোঁজ খুব সহজেই পাওয়া যায়৷
টেলিভিশন এবং মনিটর
টেলিভিশন ও কম্পিউটারের মনিটরের সার্কিট বোর্ড বানাতে স্বর্ণ ব্যবহৃত হয়৷
পুরানো শর্টওয়েভ রেডিও
পুরোনো আমলের রেডিও যদিও আজকাল চোখে পড়ে না, কিন্তু সেগুলোতে বেশ ভালো পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো৷ রূপা যদিও সোনার চেয়ে ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী, কিন্তু স্বর্ণ মজবুত এবং টেকসই বলে রেডিও নির্মাতাদের কাছে স্বর্ণই বেশি জনপ্রিয় ছিল৷
চ্যালেঞ্জ
বর্তমানে সাধারণ মানুষও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে স্বর্ণ বের করার পদ্ধতি জেনে গেছে৷ কিন্তু খুব সূক্ষ্মভাবে স্বর্ণ বের করার পদ্ধতি খুব একটা সহজ নয়৷ এর জন্য বিশেষ কিছু যন্ত্রপাতি, বার্নার এবং বেশ কয়েক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যের প্রয়োজন হয়৷