ইসলামি সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি নিয়ে দুশ্চিন্তা
১২ এপ্রিল ২০১২হাফিজ সাঈদ৷ অ্যামেরিকার সন্ত্রাসীদের তালিকার শীর্ষে থাকা নাম৷ তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য দেবার জন্যই ক'দিন আগে এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মূল হোতা হিসেবে দায়ী করা হয় লস্কর-ই তৈবার এই প্রধানকে৷ শুধু তাই নয়, ২০১০ সালে কাবুলে বোমা হামলা, ২০০১ সালে দিল্লিতে ভারতীয় সংসদে হামলার জন্যও দায়ী করা হয় তাকেই৷
অ্যামেরিকার মতো দেশ মাথার দাম ঘোষণা করার পরেও মোটেই যেন বিচলিত নন হাফিজ৷ বরং মার্কিন সরকারকে আঙুল দেখিয়ে, পাকিস্তানে খোলামেলাভাবেই জীবনযাপন করছেন তিনি৷
করাচির রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্লেষক আলী কে. চিশতি বলেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে, কৌশলগত অংশীদার হিসেবেই হাফিজকে বিবেচনা করছে পাকিস্তান৷''
তবে শুধু হাফিজ সাঈদ-ই নয়, অ্যামেরিকার সন্ত্রাসী তালিকায় থাকা আরো অনেক জঙ্গিই পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদে বসবাস করছেন৷ মনে রাখতে হবে, আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনও ছিলেন পাকিস্তানেই৷
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, কেবল পাকিস্তানই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই ইসলামি জঙ্গিবাদের প্রচার ও প্রসার ঘটছে৷ আর ইসলামি এই জঙ্গিবাদের প্রসারের পেছনে গত শতকের আশির দশকে আফগানিস্তানে যে যুদ্ধ হয়েছিল, তার একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়৷
ইসলামি উগ্রবাদী ও জঙ্গি কিছু সংগঠন নিজেদের কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিয়েছে সারা দুনিয়াব্যাপী৷ আবার কিছু সংগঠন তার ব্যাতিক্রমও বটে৷ যেমন দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ইসলামি উগ্রপন্থি দল৷ সারা বিশ্বে এদের কোনো কর্মকাণ্ড নেই৷ শুধুমাত্র নিজের দেশ বা এলাকার মধ্যেই সীমিত এদের কর্মতৎপরতা৷
তবে ইসলামি উগ্রপন্থি দল ও জঙ্গি সংগঠনের কর্মকাণ্ড দিনে দিনে দক্ষিণ এশিয়ায় বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ৯/১১ এর হামলার পর থেকে অ্যামেরিকায় বিভিন্ন জঙ্গি তৎপরতা চলছে৷ এখন ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া'তেও সেই ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: শামিল শামস/আফরোজা সোমা
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী