এর্দোয়ানের নেতৃত্বে আয়া সোফিয়ায় জুম্মার নামাজ
গির্জা থেকে মসজিদ, মসজিদ থেকে জাদুঘর, আবার জাদুঘর থেকে মসজিদ হলো ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য আয়া সোফিয়া৷ শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের নেতৃত্বে আয়া সোফিয়ায় জুম্মার নামাজে অংশ নেন মুসল্লিরা৷
নেতৃত্বে এর্দোয়ান
শুক্রবার বিশাল মুসল্লি জমায়েত হয় আয়া সোফিয়ায়৷ ধর্মীয় টুপি মাথায় দিয়ে কোরান থেকে কয়েকটি আয়াত পাঠ করেন প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান৷ প্রায় ৯০ বছর পর নামাজ আদায় হলো গির্জা হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়া ১৪৮৩ বছরের পুরনো এই স্থাপনায়৷
ভিভিআইপি উপস্থিতি
এর্দোয়ানের মন্ত্রিসভার অনেক মন্ত্রী ছাড়াও বেশ কয়েকজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাও নামাজে উপস্থিত ছিলেন৷ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আলী এরবাস খুতবায় বলেন, ‘‘ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ দিন দিন বেড়ে চলেছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদে হামলা হচ্ছে, বলপূর্বক বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, বোমা হামলা হচ্ছে, এমনকি ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে৷’’
উপচে পড়া ভিড়
করোনা সংক্রমণে নানা বিধিনিষেধ থাকলেও শুক্রবার আয়া সোফিয়ায় মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে৷ তবে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়৷ অনেকেই ইতিহাসের অংশ হতে এদিন ভিড় জমান আয়া সোফিয়ায়৷
বিতর্ক
দুই সপ্তাহ আগেও আয়া সোফিয়া ছিল জাদুঘর৷ তবে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এর্দোয়ান এই স্থাপনাটিকে আবার মসজিদ হিসেবে ঘোষণা দেন৷ এই উদ্যোগ এর্দোয়ানের ইসলামপন্থি দল একে পার্টি ছাড়াও তুর্কি জাতীয়তাবাদীদেরও সমর্থন পেয়েছে৷ তবে তুর্কি সেক্যুলাররা এই স্থাপনাকে এতদিন খ্রিস্টান ও মুসলিমদের ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে দেখতেন৷
বিরোধীরা কী বলছেন?
সরকারপন্থিদের পক্ষ থেকে আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের বিরোধীতাকারীদের নামাজ পড়তে না আসা নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে৷ তবে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির সদস্য এবং ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু জানিয়েছেন, তাকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আমন্ত্রণই জানানো হয়নি৷
পর্যটনের কী হবে?
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আয়া সোফিয়া আগের মতোই সব ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে৷ তবে ভেতরে খ্রিস্ট ধর্মের নানা প্রতীক নামাজের সময় ঢেকে দেয়া হবে৷ আগে আয়া সোফিয়ায় প্রবেশমূল্য দিয়ে টিকেট কেটে ঢুকতে হতো৷ এখন বিনামূল্যেই পর্যটকেরা আয়া সোফিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন৷