1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবারও ইইউ-র সেই চার সমস্যা

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রতি বছর ইইউ-র সার্বিক অবস্থা পুনর্মূল্যায়ন করে ইউরোপীয় কমিশন৷ এ উপলক্ষে পার্লামেন্টে ভাষণ দেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট৷ ডয়চে ভেলের বার্নড রিগার্ট মনে করেন, ২০২০ সালের বিষয়গুলোই ঘুরেফিরে আসবে এ বছর৷

https://p.dw.com/p/40Jri
Frankreich Straßurg Europatag Flaggen Europaparlament Gebäude
ছবি: picture-alliance/dpa/P. von Ditfurth

ইউরোপীয় কমিশনের করা এক জরিপ বলছে, এ মুহূর্তে জোটভুক্ত দেশগুলোর সাধারণ মানুষের কাছে যে পাঁচটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো হলো, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারি, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সামাজিক অসাম্য৷ ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ইউরোপীয় সংসদে যে ভাষণ দেবেন, সেখানে এ বিষয়গুলো গুরুত্ব পাওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা৷ ধারণা করা হচ্ছে, বুধবারের ভাষণে তার মধ্যে চারটি বিষয় খুব গুরুত্ব পাবে৷

মহামারি

ইউরোপে এখন পর্যাপ্ত কোভিড টিকা রয়েছে৷ তবে টিকা দেয়ার হার এখনো খুব কম৷ ৭০ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ককে টিকা দেয়ার লক্ষ্যপূরণ হলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহতা মাথায় রাখলে এই সাফল্যকে যথেষ্ট বলা যাবে না৷ টিকা দেয়ার হার অবশ্য ই্উরোপের একেক দেশে একেক রকম, কোনো কোনো দেশে মাত্র ২০ ভাগ মানুষ টিকা পেয়েছে এটা যেমন ঠিক, তেমনি মাল্টায় সর্বোচ্চ ৯০ ভাগ মানুষ টিকা পেয়ে গেছে- এটাও সত্যি৷

ইইউর স্বাস্থ্য ইবিষয়ক কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকিডেস ডয়চে ভেলেকে জানান, টিকা দেয়ায় একটি সমন্বিত প্রয়াস চালানো যে দরকার তা ইইউ-ও মনে করে, তাই এ লক্ষ্যে ফন ডেয়ার লাইয়েন ইতোমধ্যে ইউরোপিয়ান হেল্থ ইমার্জেন্সি রেসপন্স (এইচইআরএ) নামের একটি এজেন্সি উদ্বোধন করেছেন৷

অর্থনীতি

মহামারি ইইউ অঞ্চলের অর্তনীতিতে অভূতপূর্ব প্রভাব ফেলেছে৷ ফন ডেয়ার লাইয়েন অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার জন্য যথোপযুক্ত পুনর্নিমাণ পরিকল্পনা নিয়েছেন৷ এর জন্য ৭৫০ বিলিয়ন ইউরো (৮৮৬ বিলিয়ন ডলার)-এর বাজেট ধরা হয়েছে৷

জলবায়ু পরিবর্তন

অর্থনীতি পুনর্নিমাণ বাজেটের বড় একটা অংশ ‘সবুজ' বিনিয়োগে কাজে লাগাতে চায় ইইউ কমিশন৷ কমিশন চায়, ইইউর ‘সবুজ চুক্তি' ২০৫০ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্বন নিঃসরণ ছাড়াই ইউরোপকে সবচেয়ে জলবায়ু-নিরপেক্ষ মহাদেশে পরিণত করবে৷ 

সংহতি

ইইউ-এর ভিতরে কিছু ক্ষেত্রে বিরোধটা খুব স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ বিশেষ করে পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরি সেসব দেশে ইইউ কমিশন এবং ইউরোপীয় আদালতের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের বিরোধিতা করছে ক্রমাগতভাবে৷ইইউর নতুন সদস্য দেশগুলোতেও এ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷

এ ছাড়া অভিবাসন প্রসঙ্গেও ঐকমত্য আসেনি৷ অথচ এ অঞ্চলে অভিবাসনপ্রত্যাশী বাড়ছে, আগামীতে তার সঙ্গে ব্যাপক হারে যোগ দেবেন আফগানিস্তানের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷

অথচ কমিশন আগেই জোটভুক্ত সব দেশের মধ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশী ভাগ করে দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আশা ছেড়ে দিয়ে সীমান্ত বন্ধ করে অভিবাসনপ্রত্যাশীর আগমন নিয়ন্ত্রণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে৷

বুধবারের ভাষণে ফন ডেয়ার লাইয়েন কী বলেন আর এসব সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার কোনো পরিকল্পনা ঘোষণা করেন কিনা সেটাই এখন দেখার৷

বার্ন্ড রিগার্ট (ব্রাসেলস)/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য