1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাজ্যে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন

২৭ মে ২০২০

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও বাংলাদেশের পর এবার যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলকভাবে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3cqKr
ছবি: AFP/U. Perrey

ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (এনএইচএস) কর্তৃপক্ষ জানান, রেমডেসিভির ব্যবহারে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের সুস্থ হতে কম সময় লাগার বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পর এ রোগের চিকিৎসায় নির্ধারিত হাসপাতালে রোগীর উপর ওষুধটি প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক আশা করছেন, করোনা ভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর এই রোগের চিকিৎসায় এটিই সর্ববৃহৎ পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে৷

অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির মূলত ইবোলা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়৷

সম্প্রিত যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থ্যা এফডিএ কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমতি দেয়৷ জাপান সরকারও অনুমোদন দিয়েছে৷ এছাড়া, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকার একই ধরনের উদ্যোগ নেয়৷

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে তাদের তৈরি রেমডেসিভির তুলে দেন; যেটির ব্র্যান্ড নাম রাখা হয়েছে ‘বেমসিভির’

তবে ওষুধটি এখন শুধুমাত্র পরীক্ষামূলকভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে৷ আপাতত ওষুধের দোকানে সেটি পাওয়া যাবে না৷ বেক্সিমকো ফার্মা কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে ওষুধটি সরবরাহ করছে৷

করোনার ভ্যাকসিন না পাওয়া গেলে?

যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ওষুধটির সরবরাহে স্বল্পতা আছে৷ তাই সেখানেও আপাতত বেছে বেছে যেসব রোগীর ক্ষেত্রে ওষুধটি বেশি কার্যকর হতে পারে তাদের সেটি প্রয়োগ করা হবে৷

যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশ করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারের ‘ক্লিনিক্যাল টেস্ট’ চলছে৷ এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী, রেমডেসিভির ব্যবহারে চার দিনের মধ্যে রোগীর শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ কমতে শুরু করে৷ তবে এই ওষুধ ব্যবহরে রোগীর জীবনরক্ষার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি৷

নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গসহ নতুন রোগ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় কার্যকর কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি৷ তবে উপসর্গ নিরাময়ে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ফ্যাভিপিরাভির ও রেমডেসিভির মত প্রচলিত কিছু ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন দেশে৷

শুরুতে ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে হইচই হলেও ওষুধটির ঝুঁকি নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ স্থগিত ঘোষণা করেছে৷

রেমডেসিভির নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব লিডস মেডিকেল স্কুলের ডা. স্টেফেন গ্রিফিন বলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এটা সম্ভবত সবচেয়ে আশাপ্রদ ওষুধ৷ মুমূর্ষু রোগীদের এটা প্রথমে দেওয়া উচিত হবে৷

তবে এই ওষুধে রাতারাতি অবস্থার পরিবর্তন হয়ে যাবে এমনটা আশা করা ঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘বরং আমরা রোগী সুস্থের হার বাড়ার এবং মৃত্যুহার কমার আশা করতে পারি৷ আশা করি এই ওষুধে অনেক রোগী উপকৃত হবেন৷’’

এসএনএল/কেএম (রয়টার্স)