‘এবার ধর্মীয় মৌলবাদীরা বেশি প্রচারণা চালিয়েছে’
৩০ অক্টোবর ২০২০‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশোতে এবার আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল৷ এবারের আলোচনার বিষয় ছিল ‘সবার জন্য সমান আইন'৷ কথায়-কথায় উঠে আসে বাংলাদেশে উগ্রবাদ ও উসকানির প্রসঙ্গও৷
ড. মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটে যে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এমন ঘটনা দেশে এই প্রথম নয়৷ এমনটা আগেও ঘটেছে৷ তাঁর মতে, এবারের বিশেষত্ব হচ্ছে মানুষের মধ্যে করোনাকালীন হতাশা ও ক্ষোভ৷ সাথে ধর্মীয় উন্মাদনাও যোগ হয়েছে ফ্রান্সের ঘটনার পর৷ তাঁর মতে, এক ধরনের ‘‘রিএনফোর্সমেন্ট হয়ে এই ক্ষোভ এসেছে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যে৷'' ড. রহমান মনে করেন, এমন ঘটনা বাংলাদেশের জন্য বিচ্ছিন্ন কিছু নয় আর অন্যান্য দেশেও রয়েছে মানুষের গণবিচারের প্রবণতা৷
এ প্রসঙ্গে সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন আইনের সামনে জনগণের সাম্যের প্রশ্ন উত্থাপন করলে ড, আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘বিচারবহির্ভূত হত্যা, সে যে-ই করুক, এই ধরনের হত্যার বান্ধব পরিস্থিতি দেশে সৃষ্টি হয়েছে৷ দেশে যারা দায়িত্বপূর্ণ পদে আছেন, তারা অকপটে ক্রসফায়ারকে সমর্থন করে, গণপিটুনির কথা বলেন৷ অন্যায়ের বিচার যে আদালতের বাইরে করা যায়, সেটা মানুষের মনে ঢুকে গেছে৷''
তবে এমন পরিস্থিতিতে উসকানি কতটা ভূমিকা পালন করে ও কোন পক্ষের দায় এতে বেশি, এই প্রশ্নটিও ওঠে৷ এ প্রসঙ্গে ড.আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ধর্মবিশ্বাসী ও ধর্মবিরোধী, দুই পক্ষেই উগ্রবাদ আছে৷ দুই পক্ষই উসকানি দেয়৷ একদিকে ধর্মের মোড়লরা আর অন্যদিকে ধর্মবিরোধী মৌলবাদীরা৷ দেশে বা বিদেশে বসে তারা উসকানি দিয়ে যাচ্ছে৷ দু'টিই নিন্দনীয়৷ তবে এই ঘটনায় ধর্মান্ধরা যে বেশি প্রচারণা চালিয়েছেন, তা নিশ্চিত৷''
ড. রহমান আংশিকভাবে একমত হয়ে বলেন, ‘‘অবশ্যইধর্মান্ধ ও নাস্তিক, দুইপক্ষে উসকানির নজির আছে৷ কিন্তু নাস্তিকরা কাউকে আক্রমণ করে মারছে না৷''
এছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে সংবাদমাধ্যমের সংবাদপ্রকাশে স্বাধীনতা ও সীমাবদ্ধতার কথা৷
এসএস/এসিবি