1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘এবার ধর্মীয় মৌলবাদীরা বেশি প্রচারণা চালিয়েছে’

৩০ অক্টোবর ২০২০

বাংলাদেশে ধর্মবিশ্বাসী ও ধর্মবিরোধী, দুই পক্ষের উগ্রবাদই নিন্দনীয়, তবে এবারের ঘটনায় বেশি উসকানি দিয়েছে ধর্মবিশ্বাসী মৌলবাদীরা- ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক টকশোতে এ কথা বলেছেন ড. আসিফ নজরুল৷

https://p.dw.com/p/3kfQe
Bangladesh Program Khaled Muhiuddin Asks talkshow | Dr. Mizanur Rahman and Asif Nazrul
ছবি: DW

‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশোতে এবার আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল৷ এবারের আলোচনার বিষয় ছিল ‘সবার জন্য সমান আইন'৷ কথায়-কথায় উঠে আসে বাংলাদেশে উগ্রবাদ ও উসকানির প্রসঙ্গও৷

ড. মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটে যে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এমন ঘটনা দেশে এই প্রথম নয়৷ এমনটা আগেও ঘটেছে৷ তাঁর মতে, এবারের বিশেষত্ব হচ্ছে মানুষের মধ্যে করোনাকালীন হতাশা ও ক্ষোভ৷ সাথে ধর্মীয় উন্মাদনাও যোগ হয়েছে ফ্রান্সের ঘটনার পর৷ তাঁর মতে, এক ধরনের ‘‘রিএনফোর্সমেন্ট হয়ে এই ক্ষোভ এসেছে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যে৷'' ড. রহমান মনে করেন, এমন ঘটনা বাংলাদেশের জন্য বিচ্ছিন্ন কিছু নয় আর অন্যান্য দেশেও রয়েছে মানুষের গণবিচারের প্রবণতা৷

এ প্রসঙ্গে সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন আইনের সামনে জনগণের সাম্যের প্রশ্ন উত্থাপন করলে ড, আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘বিচারবহির্ভূত হত্যা, সে যে-ই করুক, এই ধরনের হত্যার বান্ধব পরিস্থিতি দেশে সৃষ্টি হয়েছে৷ দেশে যারা দায়িত্বপূর্ণ পদে আছেন, তারা অকপটে ক্রসফায়ারকে সমর্থন করে, গণপিটুনির কথা বলেন৷ অন্যায়ের বিচার যে আদালতের বাইরে করা যায়, সেটা মানুষের মনে ঢুকে গেছে৷''

তবে এমন পরিস্থিতিতে উসকানি কতটা ভূমিকা পালন করে ও কোন পক্ষের দায় এতে বেশি, এই প্রশ্নটিও ওঠে৷ এ প্রসঙ্গে ড.আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ধর্মবিশ্বাসী ও ধর্মবিরোধী, দুই পক্ষেই উগ্রবাদ আছে৷ দুই পক্ষই উসকানি দেয়৷ একদিকে ধর্মের মোড়লরা আর অন্যদিকে ধর্মবিরোধী মৌলবাদীরা৷ দেশে বা বিদেশে বসে তারা উসকানি দিয়ে যাচ্ছে৷ দু'টিই নিন্দনীয়৷ তবে এই ঘটনায় ধর্মান্ধরা যে বেশি প্রচারণা চালিয়েছেন, তা নিশ্চিত৷''

ড. রহমান আংশিকভাবে একমত হয়ে বলেন, ‘‘অবশ্যইধর্মান্ধ ও নাস্তিক, দুইপক্ষে উসকানির নজির আছে৷ কিন্তু নাস্তিকরা কাউকে আক্রমণ করে মারছে না৷''

এছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে সংবাদমাধ্যমের সংবাদপ্রকাশে স্বাধীনতা ও সীমাবদ্ধতার কথা৷

এসএস/এসিবি