1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার কান মাতালো বাংলাদেশের ‘মুন্নি'

১৩ জুলাই ২০২১

কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাজার মার্শে দ্যু ফিল্মের তথ্যচিত্র বিভাগের ‘ডকস ইন প্রগ্রেস'-এ পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের তথ্যচিত্র ‘মুন্নি'৷ বিভাগটির ‘থিঙ্ক-ফিল্ম ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছে তথ্যচিত্রটি৷

https://p.dw.com/p/3wR0i
Poster zu Munni Ein Dokumentarfilm aus Bangladesch
ছবি: Internationale Filminitiative von Bangladesch

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সাড়ে পাঁচটায় ‘কানডকস’-এর ডকস ইন প্রগ্রেস (যেসব ছবির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি) বিভাগের পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়৷ পালে দ্য ফেস্টিভালের মার্শে দ্যু সেকশনে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানটি৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুম-এর মাধ্যমে যোগ দেন উৎসবে উপস্থিত হতে না পারা নির্মাতা ও প্রযোজকরা৷

পুরস্কার ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় চলচ্চিত্রের পরিচালক তাহরিমা খান বলেন, ‘‘এখনো ছবিটির সম্পাদনা চলছে৷ সম্পাদনা শেষ হলে তা সবার জন্য প্রদর্শনী করা হবে৷ তখন দেখা যাবে ‘রিয়াল ইমপ্যাক্ট’৷’’

এরপর ডয়চে ভেলের সঙ্গে টেলিফোনে তাহরিমা খান বলেন, ‘‘এটা একটা বড় অর্জন৷ আমি অনেক অনুপ্রাণিত৷’’

এ বছর কানে ৩২টি ডকুমেন্টারি প্রজেক্ট জমা পড়েছে কানডকসে৷ সেখান থেকে ৬টি পুরস্কারটি জিতেছে৷ এই তথ্যচিত্রের গল্পটি টাঙ্গাইলে একদল কিশোরী ফুটবল খেলোযাড় ও তাদের প্রশিক্ষক কামরুন্নাহার মুন্নিকে নিয়ে৷

‘‘আমরা যেভাবে একটি নারী ফুটবল দলকে দেখি, তার বাইরে গিয়ে ছবিটিতে আরো গভীর কিছু দেখানোর চেষ্টা করেছি৷ চেষ্টা করেছি, তাদের ভেতরের কথাগুলো, সংগ্রামের কথাগুলো তুলে ধরার জন্য৷ তাদের স্বপ্নগুলোকে ছুঁয়ে দেখার জন্য,’’ বলেন তাহরিমা৷

Tahrima Khan | Filmemacherin aus Bangladesch
তাহরিমা খান, ‘মুন্নি’র পরিচালকছবি: Abu Shahed Emon

প্রশিক্ষক মুন্নি এই কিশোরীদের বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্তির পথ তৈরিতে সহযোগিতা করছেন৷ সেই গল্পই উঠে আসবে তথ্যচিত্রটিতে৷ ‘‘এই কিশোরীরা যেন শুধু খেলার মাঠেই নয়, জীবনের সংগ্রামে জিততে পারে, সেই গল্পই দেখানো হবে এই চলচ্চিত্রে,’’ যোগ করেন তাহরিমা৷ আগামী জানুয়ারির দিকে সম্পাদনার কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি৷

এই পুরস্কারের অধীনে তাহরিমা কৌশলগত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পাবেন৷ এ বিষয়ে ছবির প্রযোজক আবু শাহেদ ইমন বলেন, ‘‘ডকুমেন্টারি শুধু বানানোই নয়, সমাজে তা কতটা ইমপ্যাক্ট বা প্রভাব তৈরি করার ক্ষমতা রাখে, আজকাল তা-ও বিবেচনা করা হয়৷ সে বিবেচনায় নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক বৈষম্য রোধে মুন্নি তথ্যচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস৷ সে জায়গা থেকেই হয়ত এই চলচ্চিত্রটিকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে৷’’

কানডকসে এই প্রথম সাউথ এশিয়ান শোকেসে চারটি ছবি নিয়ে আসে ইন্টারন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ অফ বাংলাদেশ, আইএফআইবি৷ চারটি ছবির মধ্যে বাংলাদেশের মুন্নি ছাড়াও রয়েছে আফগানিস্তানের বার্ডস স্ট্রিট, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় ‘থার্টিন ডেসটিনেশন্স অফ আ ট্র্যাভেলার’ এবং নেপালের ‘দেবি’৷ এর মধ্যে দেবি পেয়েছে ‘অনারারি মেনশন’ এবং মুন্নি পেয়েছে থিঙ্ক-ফিল্ম ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড৷

‘‘প্রথমবারের মতো সাউথ এশিয়া শোকেসে আসতে পারাটাই বড় বিষয় ছিল৷ তারওপর অনারারি মেনশন ও বাংলাদেশের তথ্যচিত্রটি অ্যাওয়ার্ড জেতায় খুব খুশি লাগছে৷ মুন্নির পুরস্কারটিও খুব সঠিক হয়েছে,’’ ডয়চে ভেলেকে বলেন আইএফআইবি’র প্রেসিডেন্ট সামিয়া জামান৷

কানের বাণিজ্যিক শাখায় এই চারটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে এর আগে ৭ জুলাই অনলাইনে ও ১০ জুলাই সামনাসামনি বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি৷

কান থেকে ৯ জুলাইয়ের আলোচনাটি দেখুন: