‘এফসি করোনা’র বিরুদ্ধে ফুটবল ম্যাচ!
করোনার কারণে খেলা বন্ধ থাকায় জার্মানির নীচু সারির ফুটবল ক্লাবগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই অবস্থায় টিকে থাকতে অনেকে দারুন কিছু আইডিয়া বের করেছে।
এক ইউরোর টিকিট
চতুর্থ বিভাগের দল লোকোমোটিভ লাইপশিস ১৯৮৭ সালে ফ্রান্সের বুর্দো দলের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল। ঐ ম্য়াচে লোকোমোটিভের মাঠে অনানুষ্ঠানিক হিসেবে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। সেই রেকর্ড ভাঙতে এবার সমর্থকদের এক ইউরো দিয়ে একটি ম্য়াচের টিকিট কাটতে অনুরোধ করা হয়েছে। 'একটি অপরাজেয় প্রতিপক্ষের' বিরুদ্ধে ম্য়াচটি অনুষ্ঠিত হবে।
প্য়াকেজ বিক্রি
লাইপশিস শহরের আরেক দল 'শেমি লাইপশিস'ও চতুর্থ বিভাগে খেলে থাকে। অর্থ জোগাড় করতে তারা সার্টিফিকেট, স্কার্ফ, স্টেডিয়ান টুর প্য়াকেজ ইত্য়াদি বিক্রি করছে। ৩০ মার্চ পর্যন্ত তারা প্রায় সোয়া এক লাখ ইউরো সংগ্রহ করতে পেরেছে।
প্রতিপক্ষ 'এফসি করোনা'!
১৯৫৫ সালে জার্মান চ্য়াম্পিয়ন হয়েছিল রট-ভাইস এসেন বা আরডাব্লিউই। তারা অবশ্য় এখন খেলছে চতুর্থ বিভাগে। 'এফসি করোনা'র বিরুদ্ধে ম্য়াচের টিকিট বিক্রি, বিয়ার ও হটডগ বেচে ইতিমধ্য়ে তারা এক লাখের বেশি ইউরো আয় করেছে।
গোল্ডেন টিকিট
চতুর্থ বিভাগের আরেক দল আলেমানিয়া আখেন দশ ইউরো করে গোল্ডেন টিকিট বিক্রি করছে। যখন আবার খেলা শুরু হবে তখন হোম ম্য়াচের সময় এই টিকিটধারীরা বিনামূল্য়ে একটি পানীয় বা স্ন্য়াকস পাবেন।
'হামস্টেরিং ফর হানজা'
প্য়ানিক বায়িং-এর জার্মান হচ্ছে 'হামস্টেরিং'। সরকার যখন এই সময়ে সবাইকে হামস্টেরিং থেকে বিরত থাকতে বলছে তখন তৃতীয় বিভাগের দল 'হানজা রস্টক'এর কট্টর সমর্থকরা এখন সাধারণ সমর্থকদের ক্লাবের দোকান থেকে বেশি কেনাকাটার আহ্বান জানিয়েছেন।
'অ্য়ান্টিবডি' বিক্রি
করোনার সময়ে টিকে থাকতে 'রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে' চাইছে চতুর্থ বিভাগের দল এনার্গি কোটবুস। তাই 'ইচ্ছাশক্তি, সমর্থন, সংহতি' ইত্য়াদি নামক ওষুধ বিক্রি শুরু করেছে তারা। একেকটির দাম ১৯.৬৬ ইউরো। কারণ ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। ইতিমধ্য়ে কয়েকশ ওষুধ বিক্রিও হয়েছে।