1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

এফ-১৬ বোমারু বিমান দিতে নারাজ অ্যামেরিকা

৩১ জানুয়ারি ২০২৩

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আপাতত ইউক্রেনকে বোমারু বিমান সরবরাহের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷ ইউরোপের কিছু দেশ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত৷ জেলেনস্কি আরও দ্রুত সহায়তা চাইছেন৷

https://p.dw.com/p/4Mtyt
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরাসরি ইউক্রেনে এফ-১৬ বোমারু বিমান পাঠানোর প্রশ্নে নেতিবাচক অবস্থান নিলেন৷
এফ-১৬ বোমারু বিমানছবি: Sgt. Joseph Swafford/abaca/picture alliance

পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ব্যাটেল ট্যাংকের প্রতিশ্রুতি পেতে না পেতেই ইউক্রেন সময় নষ্ট না করে আরএ ভারি সামরিক সরঞ্জানের জন্য তদ্বির শুরু করে দিয়েছে৷ রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করতে এবার উন্নত বোমারু বিমান চায় ভোলোদিমির জেলেনস্কির সরকার৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও জোরালো রুশ হামলার আশঙ্কা করছেন৷ দেশের দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বাড়তি তৎপরতা সামলাতে ব্যস্ত ইউক্রেনের সেনাবাহিনী৷ রাশিয়া আরও এলাকার উপর কর্তৃত্ব দাবি করছে৷ ইউক্রেন সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে৷

তবে এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনের এমন অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেখাচ্ছেন না পশ্চিমা নেতারা৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস আগেই ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলির মধ্যে নিলাম প্রতিযোগিতার বিরোধিতা করেছিলেন৷ এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরাসরি এফ-১৬ বোমারু বিমান পাঠানোর প্রশ্নে নেতিবাচক অবস্থান নিলেন৷

জার্মানি ও অ্যামেরিকা আপাতত বিরোধিতা করলেও ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ বলেন, সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো কিছুই আলোচনার ঊর্ধ্বে থাকতে পারে না৷ তবে বোমারু বিমান সরবরাহের অনুরোধ মানার আগে কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে৷ যেমন সেই বিমান রাশিয়ার ভূখণ্ড ‘স্পর্শ করবে না'৷ মাক্রোঁ সেইসঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তেজনা আরও বাড়াতে চান না৷ পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউশ মোরাভিয়েৎস্কি ন্যাটোর সঙ্গে সম্পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনকে এফ-১৬ সরবরাহ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন৷

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ মঙ্গলবার প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করে এমন আর্জি জানাতে চলেছেন৷ অতীতের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ইউক্রেন আশা করছে, প্রবল তর্ক-বিতর্কের পর পশ্চিমা বিশ্ব শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিমান সরবরাহ করবে৷

ইউক্রেনের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা বার বার বলছেন, হাতে সময় বড় কম৷ ব্যাটেল ট্যাংকের প্রতিশ্রুতি পেলেও যুদ্ধক্ষেত্রে সেগুলি কাজে লাগাতে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে৷ জেলেনস্কি তাই আরও দ্রুত সামরিক সহায়তার আর্জি জানিয়েছেন৷ শীত কেটে গেলে  আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন আরও জোরালো সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তার আগে যতটা সম্ভব সমরসজ্জা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দুই পক্ষ৷ ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া যৌথ উদ্যোগে ইউক্রেনের জন্য গোলাবারুদ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)