1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখনো দিশাহারা ম্যার্কেলের বিপর্যস্ত সিডিইউ দল

২ নভেম্বর ২০২১

নির্বাচনে বিপর্যয়ের পাঁচ সপ্তাহ পরেও জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দল নতুন নেতৃত্ব বাছাই করতে পারছে না৷ তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীরা সরাসরি নতুন নেতা নির্বাচন করতে চাইছে৷

https://p.dw.com/p/42SfK
Deutschland Sondersitzung des Landtags von Nordrhein-Westfalen |
ছবি: Rolf Vennenbernd/dpa/picture alliance

ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই ক্ষমতার শীর্ষে থেকেছে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের রক্ষণশীল খ্রিষ্টিয় গণতন্ত্রী দল৷ চ্যান্সেলর হিসেবে  ম্যার্কেলের প্রায় ১৬ বছরের কার্যকালের শেষে দলের বেহাল অবস্থা বার বার স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ শুধু নির্বাচনে পরাজয় নয়, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের পরিবেশে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রক্রিয়াও প্রশ্ন মুখে পড়েছে৷ এমন অবস্থায় সেই প্রক্রিয়ার রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেবার উদ্যোগ নিচ্ছেন তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীরা৷ সে কারণে মঙ্গলবার দলের জরুরি বৈঠকে আগামী নেতা বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনায় শীর্ষ নেতৃত্ব বাড়তি চাপের মুখে পড়েছেন৷

নির্বাচনে বিপর্যয়ের প্রায় পাঁচ সপ্তাহ পরেও সিডিইউ দল দিশাহারা অবস্থায় রয়েছে৷ শীর্ষ নেতা ও চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী আরমিন লাশেট সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তার কোনো স্পষ্ট উত্তরসূরি চোখে পড়ছে না৷ লাশেটের প্রতিদ্বন্দ্বীরা আবার নিজেদের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরলেও তাঁদের কেউই এখনো যথেষ্ট সমর্থন আদায় করতে পারছেন না৷ এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার সিডিইউ দলের জেলা স্তরের নেতারা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সদস্যদের মতামত অনুযায়ী নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷

তৃণমূল স্তরের দাবি মেনে মঙ্গলবার সিডিইউ দলকে সাধারণ সদস্যদের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে৷ ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের দৌড়ে আপাতত যে পাঁচ জনের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁরাই শুধু প্রার্থী হিসেবে সদস্যদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন, নাকি নতুন মুখও উঠে আসতে পারে, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ দলের পাঁচ ‘হেভিওয়েট' নেতা সোমবার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ায় এক দলীয় সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন৷

ম্যার্কেল-পরবর্তী নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সিডিইউ দলের নবায়নের দাবিও উঠে আসছে৷ জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ মাঝবয়সি শ্বেতাঙ্গ পুরুষের নাম ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে উঠে আসায় দলের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করছে৷ আধুনিক যুগের দাবি মেনে মূল স্রোতের অন্য অনেক দলের মতো ‘ডাইভার্সিটি' বা বৈচিত্র্য ও তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর ডাক জোরালো হয়ে উঠছে৷ সেইসঙ্গে ম্যার্কেলের আমলের ‘অস্পষ্টতা' কাটিয়ে তুলে দলের রক্ষণশীল অবস্থান আবার কেন্দ্রবিন্দুতে আনার দাবিও তুলছে একাংশ৷ নতুন নেতৃ্ত্ব এবং স্পষ্ট আদর্শগত অবস্থান ছাড়া আগামী চার বছর সংসদে বিরোধী আসনে বসে মানুষের আস্থা আদায় করা সম্ভব হবে না বলে দলের একটা বড় অংশ মনে করছে৷ সে ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে পড়তে পারে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য