1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘এখন টাকা দিতে পারবো না'

২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

বগুড়া-৭ আসনে ভোটের হালচাল জানতে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং জাতীয় পার্টি থেকে মহাজোটের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আলতাফ আলীর কাছে যান দুই সাংবাদিক৷

https://p.dw.com/p/3Afdf
Bangladesch Stimmenauszählung 05.01.2014
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

শুরুতেই ঘটে বিপত্তি৷ প্রশ্ন না শুনেই এমপি বলে বসেন, ‘‘টাকা দিতে পারবো না৷'' তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন সাংবাদিকরাও৷

ফেসবুকে এ ঘটনার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায় দুই সাংবাদিকের সঙ্গে সাংসদের চলছে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়৷ সংবাদকর্মীদের একজন বলেন, ‘‘আমরা কি টাকা নিতে এসেছি আপনার কাছে?'' উত্তরে এ সাংসদ বলেন ‘‘কি জন্য আসছেন?''

উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন ‘‘আপনি প্রার্থী, আপনি একজন সংসদ সদস্য৷ আমরা কথা বলতে এসেছি৷ আপনি সাংবাদিকদের নিয়ে এরকম মন্তব্য করতে পারেন না৷''

এসময় সাংসদকে সাংবাদিকরা তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ করলেও তাতে রাজী হননি তিনি৷ বরং বলে বসেন, ‘‘প্রশ্নই আসে না''৷

সাংসদ তখন পালটা চ্যালেঞ্জ জানান ‘‘কত প্রমাণ তুমি নিবে?'' অন্য কারো উদাহরণ না দিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁদের টাকা নেয়ার প্রমাণ দেখাতে বললে সাংসদ বলেন, ‘‘তোমাকে নিয়ে প্রমাণ আমি কেন দেব?''

তখনসাংবাদিকদের একজনকে বলতে শোনা যায়,‘‘এমপিরা টিআর-কাবিখা সব লুটপাট করে ফেলছে, সেই দোষ কি আমি আপনাকে দেব?''

কিন্তু এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বারবারই ‘সাংবাদিক মানেই টাকা' কথাটি সাংসদকে বলতে শোনা যায়৷ এসময় একাধিক বার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সহকারী তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি সহকারীকে ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেন৷

উপস্থিত সাংবাদিকদের একজন, বেসরকারি চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের মেহেরুল সুজন নিজের ফেসবুক ওয়ালে ভিডিওটি শেয়ার দিয়েছেন৷

ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি বলছেন,‘‘গণমাধ্যম কিংবা গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে নেতিবাচক কিংবা বিদ্বেষমূলক ধারণা বা বিশ্বাস যে কারো থাকতেই পারে৷ তা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই! আমরা গণমাধ্যমকর্মীদের সবাই 'দুধে ধোয়া পবিত্র তুলসি পাতা' নই! কিন্তু তাই বলে একজন ব্যক্তি কিংবা একজন জনপ্রতিনিধি গণহারে সবাইকে 'অপবিত্র' ভাববেন তার অপকর্মের আমলনামা হাতে করে তার সামনে যেতে চাইলে, সেটা আমরা মেনে নিতে পারি না''

তিনি আরো বলেন, ‘‘একজন্য ক্ষুদ্র গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আমার কিংবা আমার এই সহকর্মীদের পেশাদারিত্ব রক্ষার লড়াইটা এখনো এতোটা 'দেউলিয়া' হয়ে যায় নি যে, একজন সংসদ সদস্য বিনা উসকানি কিংবা বিনা অপরাধে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিজ রুচি মোতাবেক যাচ্ছেতাই আচরণ করবেন, আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখবো! আমি এবং আমার এই সহকর্মীরা মনে করি, পেশাদারিত্ব এবং ব্যক্তিমেজাজ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রেখেই আমরা ঘটনার প্রতিবাদ করেছি৷''

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ছে ভিডিওটি৷ এখন পর্যন্ত ভিডিওটি দেখেছেন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ, শেয়ার হয়েছে এক হাজারেরও বেশি৷

আরআর/এডিকে