এক্সোস্কেলেটন দিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১বায়োমেকানিক্স আন্দ্রেয়াস আর্গুবি-ভলেসেন এক্সোস্কেলেটনের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করছেন৷ এই এক্সোস্কেলেটন মাথার উপর অনেকক্ষণ ধরে ভারী ড্রিল মেশিন ধরে রাখার ক্লান্তি কমানোর কথা৷
পরীক্ষা শেষে তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখতে পাচ্ছি এই কাজ করতে পেশির যত নড়াচড়া দরকার এক্সোস্কেলেটন তার পরিমাণ কমাতে পারে৷ যেমন এখানে পেশির ক্লান্তি ৫০ থেকে ৬০ ভাগ কমেছে৷ অর্থাৎ একটা কাজ করতে যে শক্তি খরচ হয় তার পরিমাণ অর্ধেক কমে গেছে৷''
তবে গবেষকদের এটা নিশ্চিত করতে হচ্ছে যেন পেশির কাজ কিছুটা থাকে৷ আর্গুবি-ভলেসেন বলেন, ‘‘আমরা চাই না যন্ত্র সব কাজ করে দিক৷ আমরা চাই পেশিও কিছু কাজ করুক যেন আমরা শক্ত ও সামর্থ্যবান থাকতে পারি৷ তা না হলে স্ট্রেইন ইনজুরি ও মাস্কুলোস্কেলেটাল সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা থাকবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘গবেষণাগারে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমাদের মাঠে নামতে হবে৷ আমরা সেটা করতেও চাই, কারণ, বাস্তবে এটা কর্মীদের জন্য কতটা লাভজনক বা আরামদায়ক হবে, তা আমরা জানতে চাই৷''
ইতিমধ্যে এক্সোস্কেলেটন ব্যবহার করে কাজ শুরু হয়েছে৷ পেইন্টার পাউল গ্রাডভল এক বছরের বেশি সময় ধরে প্যাসিভ এক্সোস্কেলেটন পরে কাজ করছেন৷ তার কোম্পানি কয়েকজনের জন্য এক্সোস্কেলেটনের ব্যবস্থা করেছে৷
পাউল বলেন, ‘‘এটার কারণে হাত ও ঘাড়ে বেশ আরাম লাগে৷'' তাই পরীক্ষা পর্যায় শেষ হওয়ার পর আমি আর এটা ফেরত দিতে চাইনি৷
এখন পর্যন্ত পাউলের কোম্পানি ছয়জনকে এক্সোস্কেলেটন দিয়েছে৷ সবাই বলছে, এটা দারুণ৷
টিমোথি ভিন/জেডএইচ