একাই পাড়ি দিলেন অ্যান্টাকর্টিকা
২৭ ডিসেম্বর ২০১৮৩৩ বছর বয়সি এ অভিযাত্রী যাত্রাপথের এক পর্যায়ে বুঝতে পারলেন বড় দিন কাছকাছি চলে এসেছে৷ মাত্র একদিনের কিছু বেশি সময় হাতে, কিন্তু পথ বাকি ১২৪ কিলোমিটার৷ দৃঢ়চেতা এই ব্যক্তি পণ করলেন বড় দিন উদযাপন করবেন অ্যান্টাকর্টিকা পাড়ি দেয়ার সফলতা দিয়েই৷ আর তাই ঘুমহীন ৩২ ঘন্টা, পাড়ি দিলেন ১২৪ কিলোমিটার৷ ক্রিসমাসের সকালে নাস্তা সারলেন অ্যান্টাকর্টিকার শেষ প্রান্তে, তাঁর গন্ত্যব্যে৷
পরিবারের সাথে কাটাতে না পারলেও এবারের ক্রিসমাস কলিনের জন্য ছিল সত্যিই আলাদা৷ কেননা, এ ক্রিসমাসেইতো হাজার মাইল পথ পারি দিয়ে ইতিহাসে লেখিয়েছেন নিজের নাম৷ যাত্রা শুরুর ৫৪ দিন পর, ১৪৮২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছেন তিনি৷
কলিন ও লুইস রুড নামে ৪৯ বছর বয়সি ব্রিটিশ আর্মির এক ক্যাপ্টেন গত ৩ নভেম্বর বরফ ঢাকা অ্যান্টাকর্টিকা পাড়ি দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন৷ ৫৪ দিনের মাথায় কলিন পৌঁছেন তাঁর গন্তব্যে৷ তবে তাঁর সহযাত্রী রুডি তখনো ছিলেন যাত্রা পথেই৷ গন্তব্যে পৌঁছাতে রুডির আরো দু-একদিন সময় লাগতে পারে বলে জানা গিয়েছিল৷
এ মহাদেশটি পাড়ি দেয়ার চেষ্টা চলছিল অনেকদিন থেকেই৷ নরওয়ের অভিযাত্রী বোর্গে আউসল্যান্ড ১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো শ্বেত ভল্লুকের এ মহাদেশ পারি দেন৷ তবে এ লম্বা পথ পাড়ি দেয়ার সময় তাঁকে নানা ধরণের সহযোগিতা করা হয়েছিল৷
‘‘শেষ ৩২ ঘণ্টা ছিল আমার জীবেনের সবচেয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত৷ তবে খুব স্মরণীয় মুহূর্তও৷ একইসাথে আমি আমার লক্ষ্যে মনোযোগী ছিলাম’’, তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন কলিন৷ যাত্রা পথের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি টুকে রেখেছিলেন ইন্সটাগ্রামে৷ নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি স্মরণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্নবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে৷
আরআর/এপিবি (এপি, এএফপি)