1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একদিনে করোনা আক্রান্তের রেকর্ড ভারতে

২২ এপ্রিল ২০২১

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১৪ হাজার ৮৩৫ জন। বিশ্বের কোনো দেশে একদিনে এতজনের করোনা হয়নি।

https://p.dw.com/p/3sLw3
অক্সিজেন নেয়ার জন্য লাইন। উত্তর প্রদেশে। দিল্লিতে তীব্র অক্সিজেন সংকট।ছবি: Prabhat Kumar Verma/Zumapress/picture alliance

আশঙ্কা সত্যি হলো। একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এক নম্বরে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১৪ হাজার ৮৩৫ জন। মারা গেছেন দুই হাজার একশ চার জন। ভারতে এর আগে কখনো একদিনে এতজন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি।

গত ১৫ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন দুই লাখের বেশি মানুষ ভারতে করোনায়. আক্রান্ত হয়েছেন। এবার তো সেই সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে গেল। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় এক নম্বরে আছে মহারাষ্ট্র। সেখানে একদিনে আক্রান্ত ৬৭ হাজার ৪৬৮ জন। এরপর দুই নম্বরে উত্তর প্রদেশ। সেখানে আক্রান্ত একদিনে ৩৩ হাজার ১০৬ জন। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমে হয়েছে ২৪ হাজার ৬৩৮ জন। একটু পিছনে কর্ণাটক ২৩ হাজার ৫৫৮ জন। কেরালায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজারের বেশি মানুষ।

একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, তিনি দেশে লকডাউন চান না। রাজ্যগুলির কাছে তার পরামর্শ ছিল, লকডাউন একেবারে শেষ অস্ত্র হিসাবেই ব্যবহার করা হোক। দিল্লি ও রাজস্থান ছাড়া আর কোনো রাজ্যে লকডাউনের ঘোষণা হয়নি। মহারাষ্ট্রেও নয়। তবে সেখানে করোনার সঙ্গে যুক্ত না থাকলে কোনো বেসরকারি গাড়ি রাস্তায় নামতে পারবে না। সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ১৫ শতাংশের বেশি কর্মী আসতে পারবেন না। বাইরে থেকে বাসে করে এলে ২১ দিনের জন্য নিভৃতবাস করতে হবে।

মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যের অবস্থা শোচনীয়। করোনা পরীক্ষা করাতেই মানুষের প্রবল বেগ পেতে হচ্ছে। করাতে পারলেও রিপোর্ট আসছে অনেক পরে। হাসপাতালে জায়গা নেই। অক্সিজেনের অভাব। করোনার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। দিল্লি হাইকোর্ট বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছে, ''কী করে বাস্তব অবস্থার থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন? অক্সিজেন নেই বলে মানুষকে মরতে দিতে পারেন না। চুরি করুন, ভিক্ষা করুন, ধার করুন, যেভাবে হোক অক্সিজেন জোগাড় করুন।'' কেন্দ্র এরপর দিল্লির অক্সিজেনের কোটা কিছুটা বাড়িয়েছে।

ভারতীয় ভাইরাস

ভারতীয় ভাইরাস নিয়ে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এখন মাথা ঘামাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, বেশ কিছু রাজ্যে ট্রিপল ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস দেখা দিয়েছে, মানে তিনটি আলাদা স্ট্রেন মিলে এই ভাইরাস তৈরি হয়েছে। তার শক্তিও তিনগুণ বেশি। এই ভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি শরীরকে বিকল করে দিচ্ছে। ঠেকাতে না পারলে এই ভাইরাস ভয়ংকর হয়ে দাঁড়াবে। এখন এই ভাইরাসের চরিত্র বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গে ভোট

এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ চলছে। যথারীতি গোলমালও হচ্ছে। আর একের পর এক রাজনৈতিক নেতা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী করেনায় আক্রান্ত। তিনি বাড়িতেই আছেন। রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডে ও সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর করোনা হয়েছে। খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিং-ও করোনায় আক্রান্ত।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)