1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একজনের জন্য নাইট রাইডার্সের এই হাল?‌

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
৩০ অক্টোবর ২০২০

বার বার ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল ঘটিয়েও জয়ের মুখ দেখতে পাচ্ছে না কলকাতা নাইট রাইডার্স৷ শাহরুখ খানের দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় হতাশ আইপিএল দর্শকেরা৷

https://p.dw.com/p/3keZK
ছবি: DW/P. Samanta

বহু কোটি টাকার টিম তৈরি করে এবার আইপিএল খেলতে নেমেছে শাহরুখ খানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স৷ কিন্তু একের পর এক ম্যাচে তাদের ব্যর্থতা হতাশ এবং ক্ষিপ্ত করছে সমর্থকদের৷ ব্যাটিং অর্ডারে বদল থেকে শুরু করে একেবারে অধিনায়ক বদলে ফেলা, কোনো টোটকাতেই কাজ হচ্ছে না৷ বরং এই ঘনঘন রদবদলেই নাইটরা ছন্দে ফিরছেন না বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা৷ একই কথা বললেন কলকাতার একটি বাংলা দৈনিকের ক্রীড়া সম্পাদক অনির্বাণ মজুমদার৷ তিনি মনে করছেন, কেকেআর-এর ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ দলের দুই সেরা খেলোয়াড় আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারাইনের ফর্মে না থাকা৷ রাসেল এর পাশাপাশি চোট-আঘাতেও কাবু, যদিও সে চোট কোথায় এবং কতটা, সে নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে৷ ওদিকে সুনীল নারাইন ব্যাটে একেবারেই ফর্মে নেই৷ গতবারের আইপিএলে কেকেআর যত দূর গিয়েছিল, তার পিছনে এই দুজনের ব্যাটিং দক্ষতার বিরাট ভূমিকা ছিল৷

একজন ওপেনারের পক্ষে এটা অপরাধ: অনির্বাণ মজুমদার, ক্রীড়া সাংবাদিক

এছাড়া সবাই যেটা বলছেন, অনির্বাণেরও তাই মত যে, এভাবে ঘন ঘন ব্যাটিং অর্ডার বদলে আখেরে লাভ হচ্ছে না, উল্টে ক্ষতি হচ্ছে৷ একের পর এক খেলোয়াড়ের নাম করে অনির্বাণ দেখালেন, পরীক্ষামূলক বদল কোনো কাজে লাগেনি৷ আচমকা আনকোরা খেলোয়াড়কে মাঠে নামিয়ে দেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি বলে তাঁর মত৷ এর পাশাপাশি নিজস্ব একটি পর্যবেক্ষণের কথা বলেছেন অনির্বাণ মজুমদার৷ তিনি বললেন, ‘‌‘‌কলকাতা নাইট রাইডার্সের যে ব্যাটসম্যান সবথেকে বেশি রান করেছে, তার জন্যেই কিন্তু নাইট রাইডার ডুবছে৷ (‌সে হলো) ‌শুভমান গিল৷ শুভমান ওপেন করে খুব ভালো রান করেছে৷ কিন্তু সমস্যা যেটা, যে প্রচুর বল নিয়ে খেলছে৷ এইটা চলবে না৷ এইটাতে কেকেআর ডুবছে৷ এটা কেউ বলছে না, কিন্তু এই জায়গাটায় কেকেআর ম্যাচের পর ম্যাচ ডুবছে৷ সুভমান গিল ৩০-৩২ রান করতে নিয়ে নিচ্ছে ২৭-২৮ বল৷ এটা টি টোয়েন্টিতে একজন ওপেনারের পক্ষে একটা অপরাধ!‌কারণ, প্রথম ছয় ওভার ‘‌পাওয়ার প্লে’৷ আমাকে যত রান, ওই ছ ওভারে তুলে নিতে হবে৷ সুভমান গিল পারছে না, অথচ প্রচুর রান করছে৷ প্রথম ছয় ওভারে সুভমান গিলের ‘‌স্ট্রাইক রেট’ ১১২৷ মানে প্রতি ১০০ বলে ১১২ রান৷ এটা টি-২০ ক্রিকেটে অচল!‌’’

‌অনির্বাণ মজুমদারের সোজা কথা, পাওয়ার প্লে-তে স্ট্রাইক রেট অন্তত ১৬০-১৭০ হতে হবে৷ সম্ভব হলে আরো বেশি৷ তবে টি-২০ ক্রিকেটে ম্যাচ জেতা যাবে৷ কলকাতা নাইট রাইডার্স সেটাই করে উঠতে পারছে না৷ ফলে একের পর এক হার৷