1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপন্ন পৃথিবী

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

শুক্রবার দিনটা যেন মর্তের অধিবাসীদের স্মরণ করিয়ে দিল হাসান রাজার কথা: ‘কি ঘর বান্ধাইমু আমি শূন্যের মাঝারে৷' রাশিয়ার উপরে ফাটল মেটিয়র৷ তার কয়েক ঘণ্টা পরেই পৃথিবীর পাশ দিয়ে ছুটে গেল এক অ্যাস্টেরয়েড৷

https://p.dw.com/p/17fPC
ছবি: NASA/Science dpa

অ্যাস্টেরয়েড, মেটিয়র, মেটিওরয়েড, মেটিওরাইট, গ্রহাণু, ধূমকেতু, উল্কা, উল্কাপাত, উল্কাবৃষ্টি, নানা কথাই শোনা যাচ্ছে৷ কিন্তু মোদ্দা কথাটা হল, একই দিনে এ'ধরণের দু'টি মহাশূন্য থেকে আসা অতিথি – তাদের একজন জানান দিয়ে এবং অন্যজন আচম্বিতে – সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে, যেমন সাধারণ মানুষ, তেমনই বিজ্ঞানী ও রাজনীতিকদের৷

Meteorite injures hundreds in Russia

রাশিয়ার উল্কাটি ছিল ১৫ মিটার ব্যাসের; ওজন ১০ টন কি তার বেশি; ফেটেছে বিশটি হিরোশিমা বোমার শক্তি নিয়ে; উরাল পর্বতাঞ্চলের চেলিয়াবিন্স্ক্ শহরে ও অন্যত্র আহত হয়েছে প্রায় বারো'শ মানুষ, হাজার হাজার বাড়ির কাচ ভেঙেছে৷ উল্কার সাইজ ছিল প্রায় একটি বাসের মতো৷ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের ফলে তা বায়ুমণ্ডলে ঢোকে ঘণ্টায় চুয়ান্ন হাজার কিলোমিটার গতি নিয়ে৷ এবং আকাশেই জ্বলেপুড়ে ভেঙে যায়৷

২০১২ ডিএ-১৪ অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুটি রাশিয়ার উল্কার তিনগুণ বড়৷ ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীর প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব দিয়ে যায় – যোগাযোগ সংক্রান্ত অনেক স্যাটেলাইটও ওর চেয়ে বেশি দূর থেকে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছে৷ একটি অ্যাস্টেরয়েডের পৃথিবীর এতো কাছ দিয়ে যাওয়া, এবং বিশেষ করে তা আগে থেকে জানা থাকার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি, বলে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা মন্তব্য করেছে৷

Russland Meteor in Chelyabinsk
রাশিয়ার আকাশে সেই উল্কাপাতের দৃশ্যছবি: picture-alliance/dpa

মুশকিল এই যে, পাঁচ লাখ থেকে দশ লাখ এই ধরণের অ্যাস্টেরয়েড – মহাশূন্যের বিচারে – পৃথিবীর কাছ দিয়েই ঘোরাফেরা করছে৷ তাদের মধ্যে মাত্র হাজার খানেক নথিবদ্ধ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা৷ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রোজ ১০০ টন পরিমাণ ‘স্টারডাস্ট' বা তারকার ধুলিকণা এসে পড়ে, তার অধিকাংশই বালির কণার মতো ছোট এবং বাতাসেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷

তবে রাশিয়ায় উল্কাপাতের ঘটনা ও অ্যাস্টেরয়েড ২০১২ ডিএ-১৪'র উদয় প্রমাণ করল যে, আমাদের ছোট্ট নীল গ্রহটি ঠিক কতোটা বিপন্ন, কতোটা অসহায়৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল থেকে মস্কোর ডুমা অবধি রাজনীতিকরা ভাবতে শুরু করেছেন, নিজেদের মধ্যে মারামরি না করে, মহাশূন্যের এই বিপদের মোকাবিলা করার জন্য একত্রিত হলে কেমন হয়!

এসি / এসবি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য