এক চাঁদের যত নাম
চাঁদ নিয়ে কত সাহিত্য, কত জল্পনা-কল্পনা৷ কিছুদিন পরপরই চাঁদ নিয়ে শোনা যায় নতুন নতুন তথ্য৷ কিন্তু সাধের এই চাঁদও ক্ষেত্রবিশেষে পায় ভিন্ন ভিন্ন নাম৷ চলুন ছবিঘরে দেখে নেই এর কয়েকটি৷
সুপার মুন
পূর্ণিমা তো প্রতি মাসেই হয়৷ জ্যোৎস্না আলোকিত রাত অতি কাঠখোট্টা মানুষের মনেও জাগায় প্রেমের আকুলতা৷ সেই পূর্ণিমার চাঁদ যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসে, তখন তাকে বলা হয় সুপার মুন৷ ফলে স্বভাবতই বছরের অন্যান্য পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে সুপার মুন আকারে বড় হয়৷
ব্লাড মুন
চন্দ্রগ্রহণ দেখতে অনেকেই তাকিয়ে থাকেন আকাশের দিকে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাদা চাঁদের অংশবিশেষ বা পুরোটাই ঢেকে যায় পৃথিবীর কালো ছায়ায়৷ কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে গ্রহণের সময় চাঁদ ধারণ করে টকটকে লাল রং৷ আর এই গ্রহণকেই ডাকা হয় ব্লাড মুন নামে৷ গবেষকরা বলেন, পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে গেলেও এই গ্রহণে সূর্যের কিছু আলো ঠিকই পৌঁছে যায় চন্দ্র পৃষ্ঠে৷ এটিই এই লাল রঙের কারণ৷
ব্লু মুন
নাম ব্লু মুন হলেও এই চাঁদ কিন্তু নীল রঙের না৷ একই মাসে দু’বার পূর্ণিমা হলে, দ্বিতীয়টিকে বলা হয় ব্লু মুন৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য বাতাসে থাকা ধুলোবালি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে চাঁদ নীল রং ধারণ করে৷ কিন্তু সেটাকে ব্লু মুন বলা হয় না৷ প্রতি তিন বছরে একবার আসে ব্লু মুন৷
সুপার ব্লাড ব্লু মুন
এটি খুবই বিরল ঘটনা৷ আকাশের চাঁদ একই সাথে সুপার, ব্লাড ও ব্লু মুনের বৈশিষ্ট্য ধারণ করলে সেটাকে সুপার ব্লাড ব্লু মুন বলা হয়৷ অর্থাৎ, মাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমায় যখন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসে এবং সেটি টকটকে লাল রং ধারণ করে, তখন সেটিকে সুপার ব্লাড ব্লু মুন নামেই ডাকা হয়৷
ব্ল্যাক মুন
ব্ল্যাক মুনকে অবশ্য চাঁদ না বলে, চাঁদের অনুপস্থিতিই বলা ভাল৷ ব্ল্যাক মুনের নানা ধরনের সংজ্ঞার মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্যটি হলো, যে মাসে কোনো পূর্ণিমা হয়না, সেটিকেই ব্ল্যাক মুন বলা হয়৷ ২৮ দিনের মাস হওয়ায়, এ ঘটনা কেবল ফেব্রুয়ারি মাসেই ঘটতে পারে৷ ১৯ বছর পর পর আসে ব্ল্যাক মুন৷ সবশেষ ব্ল্যাক মুন এসেছিল এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে৷ পরের ব্ল্যাক মুন আসবে ২০৩৭ সালে৷