1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এইডসের সমাধান বন্ধ্যাত্ব!

১০ সেপ্টেম্বর ২০১০

মরণরোগ এইডসকে ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী কত কিছুই না করা হচ্ছে৷ কিন্তু এইচআইভি পজিটিভদের অনুমতি না নিয়েই তাদেরকে বন্ধ্যা করে দেওয়া হয়েছে, এমনটা আর শোনা যায়নি৷ যেমনটা ঘটেছে নামিবিয়ান নারীদের ক্ষেত্রে৷

https://p.dw.com/p/P8kD
ছবি: AP

আর এমনই কয়েকজন নারী মামলা করেছেন দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে৷

তাঁর নাম জানা যায়নি৷ চুয়াল্লিশ বছর বয়সী এই নামিবিয়ান নারী বলছিলেন তাঁর সপ্তম সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়কার কথা, যখন তিনি জানতে পেরেছিলেন তাঁকে চিরতরে বন্ধ্যা করে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা শুনে নি:শ্চুপ হয়ে যাচ্ছিলো আদালতের অন্ধকার ঘরটি৷ তিনি বলছিলেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার ঠিক আগের মুহূর্ত্তটিতে তিনি যখন যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিলেন, হাসপাতালের নার্স তাঁকে দিয়ে একটি কাগজ স্বাক্ষর করিয়ে নেন৷ তাঁকে বলা হয়েছিলো সিজারিয়নের জন্য সেখানে অবশ্যই সই করতে হবে৷ তিনি বললেন, আমার জানা ছিলনা কাগজটিতে একইসঙ্গে বন্ধ্যা করে দেওয়ার কথাও লেখা আছে৷ তিনি বললেন, হাসপাতালের ওয়ার্ডে দু'জন নার্সের নিজেদের মধ্যে কথা শুনেই তিনি প্রথম জানতে পেরেছিলেন যে তাঁকে বন্ধ্যা করে দেওয়া হয়েছে৷

এইচআইভি পজিটিভ নামিবিয়ান ১৬ জন নারী তাদেরকে না জানিয়ে বন্ধ্যাত্ব করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে ১২ লাখ নামিবিয়ান ডলার অর্থাৎ ১ লাখ ৩০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন৷ মামলাকারীদের মধ্যে তিনিও একজন৷

অন্যদিকে সরকারের যুক্তি হলো পনেরো থেকে উনপঞ্চাশ বছর বয়সী নামিবিয়ান নারীদের মধ্যে শতকরা পনেরো ভাগই এইচআইভি পজিটিভ৷ আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে এইচআইভি পজিটিভ মায়ের সন্তানদের মধ্যেও এই মরণরোগ খুব সহজেই সংক্রামিত হচ্ছে৷ তাই এই বিশেষ ব্যবস্থা৷

আফ্রিকাতে এই ধরণের ঘটনা এই প্রথম৷ নামিবিয়াতে চল্লিশজনেরও বেশি নারী একই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন৷ তাঁদের বিভিন্ন তথ্যসহ অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করে ২০০৮ সালের অগাস্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে আইনি সহায়ক গ্রুপ ও নারীদের এইডস নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়